মেল গিবসন তাঁর ২০০৪ সালের ব্লকবাস্টার 'দ্য প্যাশন অফ দ্য ক্রাইস্ট'-এর সিক্যুয়েল 'দ্য প্যাশন অফ দ্য ক্রাইস্ট ২: রিসারেকশন' পরিচালনা করতে ইতালির ম্যাটেরা শহরে ফিরে আসছেন। নতুন এই ছবিটি যিশুখ্রিস্টের জীবনের শেষ ২৪ ঘণ্টা এবং তাঁর পুনরুত্থানের পূর্ববর্তী তিন দিনকে কেন্দ্র করে নির্মিত হবে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ছবিটির নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ম্যাটেরা এবং অ্যাপুলিয়া অঞ্চলের অন্যান্য স্থানগুলি ছবির পটভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ম্যাটেরা শহরটি মূল ছবির জন্য জেরুজালেম নগরীর রূপে সেজে উঠেছিল এবং সেই ছবিটি বিশ্বব্যাপী সাফল্য লাভ করেছিল।
মূল 'দ্য প্যাশন অফ দ্য ক্রাইস্ট' ছবিটি সমালোচক এবং বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত সফল হয়েছিল, যা বিশ্বব্যাপী ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছিল। এরপর থেকে ম্যাটেরা চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে, যেখানে জেমস বন্ডের 'নো টাইম টু ডাই'-এর মতো অন্যান্য বড় প্রযোজনাও চিত্রায়িত হয়েছে। গিবসনের এই প্রত্যাবর্তন পরিচালক এবং ইতালীয় শহরটির মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগের ইঙ্গিত দেয়। স্থানীয় সম্প্রদায় তাঁর পূর্ববর্তী কাজের সাংস্কৃতিক প্রভাবের কথা স্মরণ করে এই নতুন ছবির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
বর্তমানে ছবিটি প্রি-প্রোডাকশন পর্যায়ে রয়েছে, যেখানে কাস্টিং এবং লোকেশন নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে। এই সিক্যুয়েলটি বিশ্বাস এবং মুক্তির মতো বিষয়গুলি অন্বেষণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। মেল গিবসন একজন প্রতিভাবান পরিচালক হিসেবে পরিচিত, যিনি তাঁর চলচ্চিত্রগুলিতে আবেগপূর্ণ অভিনয় এবং দৃশ্যগত শৈলীর জন্য প্রশংসিত। 'দ্য প্যাশন অফ দ্য ক্রাইস্ট'-এর মতো তাঁর পরিচালিত ছবিগুলি প্রায়শই ঐতিহাসিক নির্ভুলতা এবং শক্তিশালী বিষয়বস্তুর জন্য পরিচিত। এই নতুন ছবিটিও সেই ধারা বজায় রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ম্যাটেরা শহরটি তার প্রাচীন স্থাপত্য এবং মনোরম দৃশ্যের জন্য পরিচিত, যা এটিকে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য একটি আদর্শ স্থান করে তুলেছে। 'দ্য প্যাশন অফ দ্য ক্রাইস্ট'-এর সাফল্যের পর ম্যাটেরা একটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই নতুন ছবিটিও ম্যাটেরার পর্যটন শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।