'অ্যান্টার্কটিকা' তথ্যচিত্রটি ইউক্রেনীয় চলচ্চিত্র জগতে এক নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে। মাত্র দুই সপ্তাহে ২ লক্ষেরও বেশি দর্শক ছবিটি দেখেছেন, যা ইউক্রেনীয় তথ্যচিত্রের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব সাফল্য। এই তথ্যচিত্রটি ৩০তম ইউক্রেনীয় অ্যান্টার্কটিক অভিযানের উপর আলোকপাত করে এবং 'একাডেমিক ভারনাডস্কি' স্টেশনে কর্মরত গবেষকদের জীবনযাত্রা তুলে ধরে। প্তুশকিনের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে মেরু অভিযাত্রীদের চ্যালেঞ্জ, তাঁদের বৈজ্ঞানিক কাজ এবং পেঙ্গুইনের মতো স্থানীয় প্রাণীদের সঙ্গে তাঁদের মিথস্ক্রিয়া। ৮৬ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি দর্শকদের মুগ্ধ করেছে এবং এর অসাধারণ চিত্রগ্রহণ ও গভীর আবেগপূর্ণ উপস্থাপনার জন্য সমালোচক ও দর্শকদের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।
'অ্যান্টার্কটিকা' জলবায়ু পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব এবং বৈশ্বিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ইউক্রেনের অবদানকে তুলে ধরে। সব বয়সের দর্শকদের জন্য উপযুক্ত এই ছবিটি ইউক্রেনীয় বিজ্ঞানকে সহজ ও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করেছে। ইউক্রেনের সাফল্যের পর, 'অ্যান্টার্কটিকা' পোল্যান্ডে মুক্তি পেতে চলেছে। ওয়ারশতে ছবিটির প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হবে ১৭ মে, ২০২৫ তারিখে, মাল্টিকিনো জল্টে ট্যারাসি সিনেমা হলে। টিকিটের মূল্য ৪৫ জ্লোটি।
এর আগে, আন্তন প্তুশকিনের ২০১৪ সালের তথ্যচিত্র 'মাই, আওয়ার বিলভেড ওয়ানস অ্যান্ড ওয়ার' (My, Our Beloved Ones and War) দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেছিল এবং প্রথম সপ্তাহান্তেই ২.৩ মিলিয়ন ইউএএইচ আয় করেছিল। 'অ্যান্টার্কটিকা' চলচ্চিত্রটি ইউক্রেনের সিনেমা হলগুলিতে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে প্রদর্শিত হচ্ছে। এই চলচ্চিত্রটি ইউক্রেনীয় বিজ্ঞানীদের মেরু অঞ্চলের গবেষণা এবং তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের এক অনবদ্য চিত্রায়ণ, যা দর্শকদের দেশের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। পোল্যান্ডে মুক্তির মাধ্যমে এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ইউক্রেনীয় তথ্যচিত্রের পরিচিতি বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।