দুইটি নতুন চলচ্চিত্র, "আমি কিরিশিমা" এবং "পলায়ন", ১৯৭০-এর দশকের জাপানের উগ্র বামপন্থীদের জীবনকে আলোকপাত করছে। এই সিনেমাগুলো ঐতিহাসিক এক জটিল সময়ের আদর্শগত চরমপন্থার যুগকে আধুনিক দর্শকদের সামনে তুলে ধরে।
বানমেই তাকাহাশির পরিচালিত "আমি কিরিশিমা" চলচ্চিত্রটি সাটোশি কিরিশিমার ওপর কেন্দ্রীভূত, যিনি পূর্ব এশিয়ার জাপানবিরোধী সশস্ত্র ফ্রন্টের একজন প্রাক্তন সদস্য। কাতসুয়া মাইগুমা অভিনীত এই চলচ্চিত্রটি কিরিশিমার পলাতক জীবনের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও একাকীত্বের অনুভূতি ফুটিয়ে তোলে। এটি মার্চ ২০২৫-এ ওসাকা এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হয়।
মাসাও আদাচির "পলায়ন" কিরিশিমার একটি কাল্পনিক জীবনী উপস্থাপন করে, যেখানে রাইরু সুগিতা ও কানজি ফুরুটাচি অভিনয় করেছেন। আদাচি, যিনি একসময় জাপানি রেড আর্মির সদস্য ছিলেন, ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গল্পটি উপস্থাপন করেছেন। এই চলচ্চিত্রটি মে ২০২৫-এ নিপ্পন কানেকশন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়।
উভয় চলচ্চিত্রই কিরিশিমার জীবন এবং আদর্শগত প্রতিশ্রুতির বিস্তৃত বিষয়গুলোতে অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। এগুলো রাজনৈতিক সক্রিয়তার মানবিক মূল্য ও জাপানের উগ্র অতীতের জটিলতাগুলো বুঝতে সাহায্য করে। প্রদর্শনী সংক্রান্ত তথ্যের জন্য ফেস্টিভ্যালের ওয়েবসাইট দেখুন।