পল গ্রিনগ্রাস পরিচালিত এবং ম্যাথিউ ম্যাকনাহে ও অ্যামেরিকা ফেরেরা অভিনীত চলচ্চিত্র "দ্য লস্ট বাস" ৩ অক্টোবর ২০২৫ সাল থেকে অ্যাপল টিভি+-এ বিশ্বব্যাপী উপলব্ধ হবে। এই শ্বাসরুদ্ধকর সারভাইভাল ড্রামাটি ক্যালিফোর্নিয়ার ২০১৮ সালের ভয়াবহ ক্যাম্প ফায়ার (Camp Fire) অবলম্বনে নির্মিত। চলচ্চিত্রটি বাস চালক কেভিন ম্যাককে (ম্যাকনাহে) এবং শিক্ষিকা মেরি লুডউইগ (ফেরেরা) কীভাবে ২২ জন শিশুকে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড থেকে উদ্ধার করেছিলেন, সেই সত্য কাহিনি তুলে ধরে।
এই চলচ্চিত্রটি লিজ্জি জনসনের লেখা "প্যারাডাইস: ওয়ান টাউন'স স্ট্রাগল টু সারভাইভ অ্যান আমেরিকান ওয়াইল্ডফায়ার" বইয়ের একটি অংশের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। এটি কেবল একটি উদ্ধার অভিযানের গল্প নয়, বরং প্রতিকূলতার মুখে মানুষের অদম্য সাহস ও সহানুভূতির এক প্রতিচ্ছবি। কেভিন ম্যাককে, যিনি ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন, তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেন। অন্যদিকে, মেরি লুডউইগ, একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষিকা, শিশুদের শান্ত রাখতে এবং তাদের সাহস জোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৮ সালের ক্যাম্প ফায়ার ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ছিল, যা প্রায় ১৫৩,৩৩৬ একর জমি পুড়িয়ে দেয় এবং ৮৫ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটায়। এছাড়াও, ১৮,০০০-এরও বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছিল। এই ঘটনাটি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের এক ভয়াবহ উদাহরণ। "দ্য লস্ট বাস" এই ভয়াবহতাকে পর্দায় তুলে ধরে দেখায় কীভাবে এমন পরিস্থিতিতেও মানবতা ও সাহসিকতা জয়ী হতে পারে।
চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে এবং রটেন টমেটোজে বর্তমানে প্রায় ৮৫% থেকে ৮৭% রেটিং পেয়েছে। এটি সেই ভয়াবহ রাতে যারা নিজেদের জীবন বাজি রেখেছিলেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি স্বরূপ। "দ্য লস্ট বাস" প্রমাণ করে যে সাধারণ মানুষও অসাধারণ পরিস্থিতিতে নায়কোচিত ভূমিকা পালন করতে পারে, যা দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলবে।