ভৌতিক চলচ্চিত্রের জগতে 'দ্য কনজারিং: লাস্ট রাইটস' এক অভূতপূর্ব আর্থিক বিজয় অর্জন করেছে, যা বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে এক বিশাল মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এই চলচ্চিত্রটি ২০২৫ সালের ৭ই অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৪৫৯.২৮ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা এর প্রযোজনা বাজেট ৫৫ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় এক উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এই বিপুল উপার্জন প্রমাণ করে যে, দর্শক এখনও এই মহাবিশ্বের গল্প বলার ক্ষমতাকে গভীর মনোযোগের সাথে গ্রহণ করছে। এই চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক আবেদন বিশেষভাবে শক্তিশালী ছিল, যা বিশ্ব বাজারে ডিসি-এর 'সুপারম্যান'-এর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
এই ব্যাপক সফলতা 'দ্য কনজারিং' ফ্র্যাঞ্চাইজির স্থায়ী আকর্ষণ এবং বিশ্বজুড়ে দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করার ধারাবাহিক ক্ষমতাকে তুলে ধরে। 'লাস্ট রাইটস' তার উদ্বোধনী সপ্তাহান্তে আন্তর্জাতিকভাবে ১৯৪ মিলিয়ন ডলার আয় করে, যা ২০১৭ সালের 'ইট'-এর ১৯০ মিলিয়ন ডলারকে অতিক্রম করে একটি হরর সিনেমার জন্য সর্বকালের সেরা উদ্বোধনী সপ্তাহান্তের রেকর্ড গড়েছে। এটি কেবল এই সিরিজের সেরা উদ্বোধনী সপ্তাহান্তই নয়, বরং যেকোনো ভৌতিক চলচ্চিত্রের জন্য সবচেয়ে বড় সূচনা। চলচ্চিত্রটি মুক্তির প্রথম দিনে, বৃহস্পতিবারের প্রিভিউ সহ, ৩৪.৬ মিলিয়ন ডলার আয় করে, যা এই সিরিজের জন্য উভয় ক্ষেত্রেই নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে।
সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এলেও, চলচ্চিত্রটি তার শক্তিশালী গল্প এবং কার্যকর বিপণনের মাধ্যমে দর্শকদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। এই আর্থিক বিজয় কেবল নির্মাতাদের জন্যই লাভজনক নয়, বরং এটি ভৌতিক ঘরানার জন্য এক প্রাণবন্ত ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের ইঙ্গিত দেয়, যা শিল্পে আরও উদ্ভাবন ও উচ্চাভিলাষী প্রকল্পকে উৎসাহিত করবে। চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর থেকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে এবং বিশ্বব্যাপী ৪৫৯.৭ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করে এটিকে সিরিজের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী চলচ্চিত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি সম্মিলিতভাবে মাত্র ২৬৩ মিলিয়ন ডলারের সম্মিলিত বাজেটের বিপরীতে ২.৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা এটিকে সর্বকালের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী ভৌতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। 'এক্স-মেন: দ্য লাস্ট স্ট্যান্ড'-এর বিশ্বব্যাপী মোট গ্রস ৪৬০.৪ মিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া এই চলচ্চিত্রের আর্থিক শক্তির আরেকটি প্রমাণ। বিশেষ করে ফিলিপাইনের মতো বাজারে, যেখানে ভৌতিক ঘরানার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে, 'লাস্ট রাইটস' সেই অঞ্চলের জন্য একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে, যা দেখায় যে ভয় ও রহস্যের অনুভূতি বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে এক অভিন্ন বন্ধন তৈরি করতে পারে।