'ভাশ' নামক গুজরাটি মনস্তাত্ত্বিক হরর-থ্রিলার চলচ্চিত্রটি ৭তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা গুজরাটি চলচ্চিত্রের সম্মান লাভ করেছে। এই চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য অভিনেত্রী জানকি বোদিওয়ালা সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন।
সম্প্রতি নতুন দিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ভারতীয় চলচ্চিত্রের উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার প্রদান করেন। 'ভাশ' চলচ্চিত্রের পরিচালক কৃষ্ণদেব ইয়াগনিক এবং প্রযোজক কালপেশ সোনি পুরস্কার গ্রহণ করেন। প্রযোজকদের মতে, এই সম্মাননা তাঁদের আরও উন্নত মানের চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুপ্রাণিত করবে এবং এটি গুজরাটি চলচ্চিত্রের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।
পরিচালক কৃষ্ণদেব ইয়াগনিক উল্লেখ করেছেন যে, মনস্তাত্ত্বিক হরর-এর মতো একটি কম অন্বেষিত ধারার চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় স্তরে স্বীকৃতি পাওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। জানকি বোদিওয়ালা এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেছেন যে, রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ তাঁর কর্মজীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রটি তার টানটান চিত্রনাট্য, মনস্তাত্ত্বিক গভীরতা এবং চমৎকার সিনেমাটোগ্রাফির জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছিল।
'ভাশ'-এর এই সাফল্য গুজরাটি সিনেমার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা সৃজনশীলতার সীমা প্রসারিত করেছে এবং ভবিষ্যতের আঞ্চলিক চলচ্চিত্রগুলির জন্য একটি উচ্চ মান স্থাপন করেছে। চলচ্চিত্রটি কেবল গুজরাটি ভাষাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং এর হিন্দি রিমেক 'শয়তান' (২০২৪) এবং 'ভাশ: লেভেল ২' (২০২৫) এর মাধ্যমে এটি জাতীয় স্তরে আরও বৃহত্তর পরিচিতি লাভ করেছে। 'ভাশ: লেভেল ২' বর্তমানে প্রেক্ষাগৃহে চলছে এবং বক্স অফিসেও এটি দারুণ সাফল্য অর্জন করেছে। এই জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তি গুজরাটি সিনেমার ক্রমবর্ধমান প্রভাবের একটি প্রমাণ, যা আঞ্চলিক গল্প বলার শক্তি এবং শক্তিশালী অভিনয়ের মাধ্যমে জাতীয় প্ল্যাটফর্মে নিজের স্থান করে নিচ্ছে। এই সাফল্য গুজরাটি চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি বড় অর্জন, যা আগামী দিনে আরও উন্নত মানের চলচ্চিত্র নির্মাণের পথ প্রশস্ত করবে।