ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনের নতুন গ্লোবাল এডিটরিয়াল ডিরেক্টর মার্ক গুইডুচ্চি প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে ম্যাগাজিনের কভারে ফিচার করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই প্রস্তাবটি ম্যাগাজিনের কর্মীদের মধ্যে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যার ফলে কিছু কর্মী পদত্যাগের কথাও ভাবছেন। এই অভ্যন্তরীণ বিভেদ ফ্যাশন মিডিয়ায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের উপস্থাপনা নিয়ে বৃহত্তর আলোচনা উস্কে দিয়েছে।
ঐতিহাসিকভাবে, মেলানিয়া ট্রাম্প তার স্বামীর রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে কোনো প্রধান ফ্যাশন ম্যাগাজিনের কভারে স্থান পাননি। কিছু পর্যবেক্ষক এটিকে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব হিসেবে দেখছেন। বর্তমানে, এই বিষয়টি ভ্যানিটি ফেয়ার-এর অভ্যন্তরে পর্যালোচনার অধীনে রয়েছে। মার্ক গুইডুচ্চি, যিনি পূর্বে ভোগ (Vogue)-এ ক্রিয়েটিভ এডিটরিয়াল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন, তিনি তার স্বতন্ত্র সম্পাদনার পদ্ধতির জন্য পরিচিত। তার এই নতুন প্রস্তাব ফ্যাশন জগতে রাজনৈতিক প্রভাব এবং মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৯৮% পোশাক আমদানি নির্ভর। আসন্ন প্রশাসনের আমদানি শুল্ক নীতি ফ্যাশন শিল্পের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। ঐতিহাসিকভাবে, ফ্যাশন কেবল পোশাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, এটি রাজনৈতিক বার্তা বহন এবং সামাজিক পরিবর্তনের একটি মাধ্যম হিসেবেও কাজ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, বেভারলি জনসন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে ভোগ ম্যাগাজিনের কভারে আসা বা আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজের 'ট্যাক্স দ্য রিচ' লেখা গাউন পরা—এগুলো সবই ফ্যাশনের মাধ্যমে রাজনৈতিক বার্তা প্রদানের উদাহরণ। এই ঘটনাগুলি প্রমাণ করে যে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান, যা প্রায়শই বিতর্ক এবং আলোচনার জন্ম দেয়।
মেলানিয়া ট্রাম্প অতীতে ভোগ এবং ভ্যানিটি ফেয়ার-এর মতো ম্যাগাজিনের কভার থেকে বাদ পড়েছেন, যা নিয়ে তিনি নিজেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন যে ম্যাগাজিনগুলো পক্ষপাতদুষ্ট এবং তাদের নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ রয়েছে। এই পরিস্থিতি ফ্যাশন মিডিয়ার নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। একদিকে যেমন কিছু কর্মী এই ধরনের কভারের বিরোধিতা করছেন, তেমনই অন্যদিকে এটি একটি নতুন প্রজন্মের কাছে ফ্যাশন এবং রাজনীতির সংযোগকে তুলে ধরার একটি সুযোগও তৈরি করেছে।