মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার ল্যাটিন আমেরিকার ড্রাগ কার্টেলগুলির বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযান চালানোর জন্য একটি গোপন নির্দেশিকা অনুমোদন করেছে। এই নীতি পরিবর্তনের ফলে প্রতিরক্ষা বিভাগকে সমুদ্রপথে এবং কার্টেল-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে শক্তি প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি কুখ্যাত কার্টেলকে বিশেষভাবে মনোনীত বিশ্ব সন্ত্রাসী (SDGT) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মেক্সিকোর সিনালোয়া কার্টেল, এল সালভাদরের মারা সালভাট্রুচা (MS-13), ভেনিজুয়েলার ট্রেন দে আরাগুয়া এবং কার্টেল দে লস সোলেস, যা ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরোর নেতৃত্বে বলে মনে করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই অবস্থানকে জোরালোভাবে সমর্থন করেছেন এবং কার্টেলগুলিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে পুনরায় মূল্যায়নের পক্ষে সওয়াল করেছেন। রুবিও জোর দিয়ে বলেছেন যে SDGT পদবি "আমেরিকান শক্তি, গোয়েন্দা সংস্থা [এবং] প্রতিরক্ষা বিভাগের সমস্ত উপাদান" ব্যবহার করার অনুমতি দেয় এই গোষ্ঠীগুলিকে লক্ষ্য করার জন্য।
যদিও এই আদেশটি সরাসরি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের দ্বার উন্মুক্ত করে, তবে কোন দেশগুলি এই ধরনের অভিযানের সম্মুখীন হতে পারে বা স্থানীয় বাহিনী মার্কিন পদক্ষেপ প্রতিরোধ করলে কী পরিণতি হতে পারে সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি ক্লডিয়া শেইনবাউম নিশ্চিত করেছেন যে মেক্সিকোতে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের কোনও ঝুঁকি নেই। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে তাঁর সরকার আসন্ন মার্কিন আদেশের বিষয়ে অবহিত ছিল, তবে এতে মার্কিন সৈন্যদের মোতায়েন জড়িত নয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং বিচার বিভাগ নিকোলাস মাদুরোর গ্রেপ্তার বা দোষী সাব্যস্ত করার তথ্যের জন্য পুরস্কার ৫০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে। এই নির্দেশিকা ল্যাটিন আমেরিকায় মাদক পাচার এবং সংশ্লিষ্ট সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদ্ধতির একটি উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণকে প্রতিনিধিত্ব করে। এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায়, মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি ক্লডিয়া শেইনবাউম জোর দিয়ে বলেছেন যে মেক্সিকোর ভূখণ্ডে মার্কিন সামরিক বাহিনীর কোনও প্রবেশাধিকার থাকবে না। তিনি উল্লেখ করেছেন যে যদিও তাঁর সরকার আসন্ন মার্কিন আদেশ সম্পর্কে অবগত ছিল, তবে এটি মেক্সিকোর ভূখণ্ডে মার্কিন সামরিক বাহিনীর কোনও কার্যক্রমের সাথে সম্পর্কিত নয়। তিনি আরও বলেছেন যে এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ মেক্সিকোর সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হবে এবং এটি কোনও চুক্তির অংশ নয়। এই নীতি পরিবর্তনটি মাদক পাচার এবং সংশ্লিষ্ট সহিংসতা মোকাবেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি নতুন এবং আরও কঠোর পদ্ধতির ইঙ্গিত দেয়, যা এই অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে পারে।