মার্কিন নৌবাহিনীর ভেনেজুয়েলার মাদকবাহী জাহাজে হামলা

সম্পাদনা করেছেন: gaya ❤️ one

দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে ভেনেজুয়েলা থেকে ছেড়ে আসা একটি মাদকবাহী জাহাজে মার্কিন সামরিক বাহিনী একটি "মারাত্মক হামলা" চালিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এই পদক্ষেপটি একটি বৃহত্তর মার্কিন উদ্যোগের অংশ, যার লক্ষ্য হলো ল্যাটিন আমেরিকার মাদক চোরাকারবারী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই অঞ্চলে নৌ উপস্থিতি বৃদ্ধি করা। এই অপারেশনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি পারমাণবিক শক্তি চালিত দ্রুতগামী আক্রমণকারী সাবমেরিন এবং ৪,৫০০ জনেরও বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে। এছাড়া, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য পি-৮ নজরদারি বিমানও ব্যবহার করা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সৈন্য মোতায়েন বৃদ্ধি করেছেন এবং মিলিশিয়া বাহিনীতে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য মাদক চোরাচালানের একটি মিথ্যা গল্প তৈরি করছে। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলায় কোনো স্থল অভিযান চালানোর অভিপ্রায় নেই বলে জানিয়েছে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাদক চোরাকারবারী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার জন্য ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে তার নৌ উপস্থিতি বাড়িয়েছে। এই অঞ্চলে মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি নিয়ে ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে জল্পনা-কল্পনা চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে মাদক চোরাকারবারী চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে এবং তার গ্রেপ্তারের জন্য পুরস্কারের পরিমাণ বাড়িয়েছে। ভেনেজুয়েলার সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে তাদের সার্বভৌমত্বের উপর হুমকি হিসেবে দেখছে এবং দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সৈন্য মোতায়েন করেছে। প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেছেন যে তারা যেকোনো আক্রমণের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে এবং প্রয়োজনে একটি "অস্ত্রসজ্জিত প্রজাতন্ত্র" ঘোষণা করতে প্রস্তুত। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি মিথ্যা মাদক পাচার কাহিনী তৈরি করে তার সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক তৎপরতা ল্যাটিন আমেরিকার মাদক চোরাকারবারী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি অংশ। এই অঞ্চলে মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং এই ধরনের অভিযানগুলি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাদক চোরাচালান বন্ধে এবং জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উৎসসমূহ

  • New York Post

  • Reuters

  • AP News

  • Reuters

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।