জেফরি এফপিইন-এর যৌন পাচার সংক্রান্ত মামলার তদন্তে সরকারি সংস্থার ভূমিকা খতিয়ে দেখতে হাউস ওভারসাইট কমিটি তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে। এই তদন্তের অংশ হিসেবে, কমিটি একাধিক ব্যক্তিকে তলব করেছে এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও প্রাক্তন আধিকারিকদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান জেমস কোমার বলেছেন, যৌন পাচার আইন প্রয়োগ এবং এফপিইন তদন্তের তত্ত্বাবধানে কংগ্রেসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই তদন্তের আওতায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন, প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, প্রাক্তন এফবিআই অধিকর্তা জেমস কমে এবং রবার্ট মুলার, এবং প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড, উইলিয়াম বার, জেফ সেশনস, লরেটা লিঞ্চ, এরিক হোল্ডার এবং আলবার্তো গঞ্জালেসকে তলব করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, এফপিইন এবং ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত সন্দেহজনক কার্যকলাপের প্রতিবেদন (SARs) ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের কাছে চাওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগ এফপিইন তদন্তের নথি প্রকাশ করতে রাজি হয়েছে। কমিটি এফপিইন-এর সম্পত্তি থেকেও আর্থিক লেনদেনের তথ্য চেয়ে তলব করেছে।
তবে, প্রাক্তন এফবিআই অধিকর্তা রবার্ট মুলারের স্বাস্থ্যগত কারণে তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা তলব প্রত্যাহার করা হয়েছে। এফপিইন-এর ৫০তম জন্মদিনের একটি বিশেষ বই এবং তাঁর উইল ও চুক্তি সংক্রান্ত কাগজপত্রও তলব করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলি এফপিইন কেলেঙ্কারির গভীরতা এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সম্পর্কে নতুন আলোকপাত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এফপিইন-এর এস্টেটের মূল্য প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার ছিল, যা পরে পাচার চক্রের শিকার হওয়া ২০০ জনেরও বেশি মহিলা ও মেয়েকে ক্ষতিপূরণ দিতে গিয়ে কমে দাঁড়িয়েছিল ৪০ মিলিয়ন ডলারে। তবে সম্প্রতি একটি কর ছাড়ের মাধ্যমে এস্টেটের মূল্য প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এই ঘটনাগুলি এফপিইন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত আর্থিক অনিয়ম এবং সরকারি গাফিলতির দিকগুলি তুলে ধরবে।