হাউস স্পিকার মাইক জনসন সম্প্রতি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জেফরি এপস্টাইন-এর যৌন পাচার চক্র ভেঙে ফেলার জন্য এফবিআই-এর গুপ্তচর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ এনেছেন। জনসন দাবি করেছেন যে ট্রাম্প এই বিষয়ে "অত্যন্ত সহানুভূতিশীল" ছিলেন এবং এই চক্রকে ভেঙে ফেলার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছিলেন। এই অভিযোগ এপস্টাইন-এর কার্যকলাপের স্বচ্ছতার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে এবং সম্পর্কিত নথি প্রকাশের আহ্বানের মধ্যে সামনে এসেছে।
এপস্টাইন-এর নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা এপস্টাইন ফাইলস ট্রান্সপারেন্সি বিল পাসের জন্য জোর দিচ্ছেন, যা এপস্টাইন সম্পর্কিত সমস্ত অ-শ্রেণীবদ্ধ নথি প্রকাশের জন্য সরকারকে বাধ্য করবে। এই প্রচেত্ত্বেও, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও তথ্য প্রকাশের দাবিকে "ডেমোক্র্যাটদের একটি চক্রান্ত" বলে অভিহিত করেছেন, যা এই বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। হাউস ওভারসাইট কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত ৩৩,০০০ পৃষ্ঠার বেশি নথি, যা সমালোচকদের মতে বেশিরভাগই রেড্যাক্টেড এবং এতে মূলত সর্বজনীনভাবে পরিচিত তথ্য রয়েছে, এই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
এই ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে, কিছু সূত্র থেকে জানা গেছে যে ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী ২০০৯ সালেVictim Number 1-এর মামলার জন্য ট্রাম্পের সহায়তার কথা উল্লেখ করেছিলেন, যদিও এটি এফবিআই-এর সাথে একটি আনুষ্ঠানিক সংযোগ বা চলমান সম্পর্ককে বোঝায় কিনা তা স্পষ্ট নয়। এই দাবিগুলি রিপাবলিকান প্রতিনিধি থমাস ম্যাসি উত্থাপন করেছেন, যিনি এপস্টাইন ফাইলস ট্রান্সপারেন্সি অ্যাক্ট পাসের জন্য একটি পিটিশন পরিচালনা করছেন। তিনি এবং ডেমোক্র্যাটিক প্রতিনিধি রো খান্না এই বিলের সমর্থনে কাজ করছেন, যা বিচার বিভাগকে এপস্টাইন সম্পর্কিত সমস্ত অ-শ্রেণীবদ্ধ নথি প্রকাশ করতে বাধ্য করবে।
অন্যদিকে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই বিষয়টিকে "গণতান্ত্রিক চক্রান্ত" বলে অভিহিত করেছেন এবং দাবি করেছেন যে ডেমোক্র্যাটরা তার সরকারের সাফল্য থেকে মনোযোগ সরানোর জন্য এই বিষয়টিকে ব্যবহার করছে। তিনি আরও বলেন যে বিচার বিভাগ সমস্ত অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করেছে। তবে, এই ঘটনাগুলি এপস্টাইন-এর সাথে সম্পর্কিত নথি প্রকাশের বিষয়ে চলমান আলোচনা এবং ট্রাম্পের কথিত জড়িত থাকার পরিধি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতি এখনও গতিশীল এবং ভবিষ্যতে আরও তথ্য প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।