মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের মেরিল্যান্ডের বাড়িতে ২২শে আগস্ট, ২০২৫ তারিখে এফবিআই একটি আদালত-অনুমোদিত তল্লাশি চালিয়েছে। এই পদক্ষেপটি শ্রেণীবদ্ধ তথ্যের আদান-প্রদান সংক্রান্ত একটি জাতীয় নিরাপত্তা তদন্তের অংশ। এফবিআই অধিকর্তা কা preash প্যাটেল এই তল্লাশির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, "আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন।"
ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে ট্রাম্পের একজন কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত বোল্টন এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হননি বা কোনো অপরাধে অভিযুক্তও হননি। এই তদন্তটি বোল্টনের ২০২০ সালের স্মৃতিকথা "দ্য রুম হোয়্যার ইট হ্যাপেন্ড"-এর উপর আলোকপাত করছে। ট্রাম্প প্রশাসন পূর্বে বইটিতে শ্রেণীবদ্ধ তথ্যের উদ্বেগ প্রকাশ করে এর প্রকাশনা আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে, ২০২১ সালে বিচার বিভাগ বই সংক্রান্ত মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়।
এই তল্লাশিটি পূর্ববর্তী একটি অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতা, যা বোল্টনের বিরুদ্ধে শ্রেণীবদ্ধ তথ্য ফাঁস করার অভিযোগের উপর ভিত্তি করে শুরু হয়েছিল। যদিও ২০২১ সালে এই মামলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তবে নতুন তথ্যের ভিত্তিতে এটি পুনরায় চালু করা হয়েছে। বোল্টন, একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিক এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, সম্প্রতি ট্রাম্পের একজন কট্টর সমালোচক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
তাঁর এই তল্লাশির ঘটনাটি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যের আদান-প্রদান নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই ঘটনাটি ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে থাকা সমালোচকদের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের একটি অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে। এর আগে, এফবিআই পরিচালক কা preash প্যাটেল তাঁর একটি বইতে উল্লেখিত প্রায় ৬০ জন ব্যক্তির একটি তালিকা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন, যাদের মধ্যে অনেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচক হিসেবে পরিচিত। এই তল্লাশি সেই তালিকার পঞ্চম ঘটনা, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অনেকে মনে করছেন।
বোল্টনের স্মৃতিকথাটি ২০২০ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং এটি ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আলোকপাত করে। বইটি প্রকাশের সময়, ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে এর প্রকাশনা বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। এই ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির কার্যকারিতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। এফবিআই-এর এই পদক্ষেপের ফলে জাতীয় নিরাপত্তা এবং তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে আলোচনা আরও জোরদার হয়েছে।