২০২৪ সালের ৮ই আগস্ট, ড্যানিয়েল কে. ইনোউয়ে সোলার টেলিস্কোপ (DKIST) একটি X1.3 শ্রেণীর সৌর শিখার অত্যন্ত উচ্চ-রেজোলিউশনের চিত্র ধারণ করেছে। এই পর্যবেক্ষণটি প্রায় ৪৮.২ কিলোমিটার গড় প্রস্থের করোনাল লুপগুলিকে উন্মোচন করেছে, যা এখন পর্যন্ত সৌর শিখার সবচেয়ে নির্ভুল চিত্র। এই লুপগুলি সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্রকে আকার দেয় এবং প্রায়শই সৌর শিখার পূর্বে দেখা যায়। এই শিখাগুলি চৌম্বকীয় রেখার মোচড় এবং পুনঃসংযোগের মাধ্যমে ঘটে, যা বিপুল পরিমাণে শক্তি নির্গত করে এবং পৃথিবী সহ অন্যান্য স্থানে স্যাটেলাইট, পাওয়ার গ্রিড এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে পারে।
এই ক্ষুদ্র আকারের লুপগুলি অধ্যয়ন করার ক্ষমতা মহাকাশ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বিপ্লব ঘটাতে পারে। বর্তমান পূর্বাভাসগুলি অনেক বড় স্কেলে করোনাল কাঠামোকে গড় করে এমন মডেলগুলির উপর নির্ভর করে, যা একটি অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বে চৌম্বকীয় শক্তি কোথায় ঘনীভূত হয় তার গুরুত্বপূর্ণ বিবরণগুলি এড়িয়ে যায়। ন্যাশনাল সোলার অবজারভেটরি (NSO) দ্বারা পরিচালিত DKIST, হাওয়াইয়ের বৃহত্তম সৌর টেলিস্কোপ। এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে প্রাপ্ত ডেটা সৌর-ভূ-চৌম্বকীয় মডেল, মহাকাশ আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং অন্যান্য নাক্ষত্রিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের তুলনামূলক গবেষণায় অবদান রাখে।
এই পরিমাপগুলি চরম সৌর ঘটনার পূর্বাভাস দেওয়ার এবং পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো রক্ষা করার জন্য পরীক্ষামূলক ভিত্তি উন্নত করবে। NSO দলের ভবিষ্যতের গবেষণা ফটস্ফিয়ার, ক্রোমোস্ফিয়ার এবং বাইরের করোনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে, যার লক্ষ্য সৌর চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি এবং শক্তি পরিবহনের প্রক্রিয়াগুলি উন্মোচন করা। এই নতুন চিত্রগুলি, যা প্রায় ২১ কিলোমিটার পর্যন্ত সরু লুপগুলিও প্রকাশ করেছে, সৌর পদার্থবিদ্যায় একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটি আমাদের নক্ষত্রের অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা সম্পর্কে গভীর ধারণা দেবে এবং মহাকাশ আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে আরও নির্ভুল করে তুলবে।
এই গবেষণাটি 'দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স'-এ প্রকাশিত হয়েছে। IBM এবং NASA-এর যৌথ উদ্যোগে তৈরি 'সুর্য' নামক একটি নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মডেলও মহাকাশ আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে উন্নত করতে সহায়ক হবে, যা আগের পদ্ধতির তুলনায় ১৬% বেশি নির্ভুলতা প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তিগুলি আমাদের প্রযুক্তিগত পরিকাঠামোকে সৌর ঝড় থেকে রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।