রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করেছে। এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ. ডেভোরেট এবং জন এম. মার্টিনিসকে তাদের "একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম টানেলিং এবং শক্তি কোয়ান্টাইজেশনের আবিষ্কারের" জন্য। এই যুগান্তকারী গবেষণাটি পূর্বে কেবল অতিপারমাণবিক স্তরে পর্যবেক্ষণ করা কোয়ান্টাম ঘটনাগুলির ম্যাক্রোস্কোপিক সিস্টেমে প্রকাশনার প্রমাণ করেছে।
এই তিন বিজ্ঞানী তাদের অগ্রণী পরীক্ষার মাধ্যমে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের নীতিগুলিকে এমন একটি স্কেলে প্রদর্শন করেছেন যা খালি চোখে দেখা সম্ভব। তাদের কাজ কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং অতি-সংবেদনশীল সেন্সরের মতো প্রযুক্তির উন্নয়নে মৌলিক ভূমিকা পালন করেছে। এই আবিষ্কারগুলি কোয়ান্টাম প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জন ক্লার্ক, ১৯৪২ সালে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৬৮ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলির একজন এমেরিটাস অধ্যাপক। মিশেল এইচ. ডেভোরেট, যিনি মূলত ফ্রান্সের প্যারিসের বাসিন্দা, প্যারিস-সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেট সম্পন্ন করেন এবং বর্তমানে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা বারবারার অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জন এম. মার্টিনিস, ১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলি থেকে জন ক্লার্কের তত্ত্বাবধানে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি গুগল কোয়ান্টাম এআই-এর প্রধান বিজ্ঞানী।
এই তিন বিজ্ঞানী ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি) পুরস্কারের অর্থ সমানভাবে ভাগ করে নেবেন। এই পুরস্কারটি পদার্থবিদ্যার মৌলিক গবেষণার গুরুত্ব এবং আধুনিক প্রযুক্তির অগ্রগতিতে এর প্রভাবকে তুলে ধরে। তাদের গবেষণা কোয়ান্টাম সেন্সরগুলির মতো প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে, যা মহাকাশ গবেষণা এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনতে পারে।