এমআইটি-র পদার্থবিদরা ২৮শে জুলাই, ২০২৫-এ একটি যুগান্তকারী গবেষণা প্রকাশ করেছেন, যা আলোর কণা এবং তরঙ্গ উভয় বৈশিষ্ট্যকে পারমাণবিক স্তরে প্রমাণ করেছে।
১৮০১ সালে টমাস ইয়ং প্রথম ডাবল-স্লিট পরীক্ষা করেন, যা আলোর তরঙ্গ-সদৃশ বৈশিষ্ট্য প্রমাণ করে। এই পরীক্ষায় দেখা যায়, আলো একটি পর্দার মধ্যে দুটি সরু চির দিয়ে গেলে, এটি ব্যতিচার সৃষ্টি করে, যা তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য।
অধ্যাপক উলফগ্যাং কেটারলের নেতৃত্বে এমআইটি-র বিজ্ঞানীরা একটি নতুন পরীক্ষা ডিজাইন করেন, যেখানে তারা একটি দুর্বল আলোকরশ্মি ব্যবহার করে একটি পরমাণু থেকে ফোটন নিঃসরণ করেন। তারা পরমাণুগুলির কোয়ান্টাম অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে ফোটনের পথ সম্পর্কে তথ্য নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন।
ফলাফলস্বরূপ, তারা দেখেন যে ফোটনের পথ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করলে ব্যতিচারের প্যাটার্ন দুর্বল হয়ে যায়, যা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ভবিষ্যদ্বাণীগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
জাতিসংঘ ২০২৫ সালকে আন্তর্জাতিক কোয়ান্টাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল কোয়ান্টাম বিজ্ঞান এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর বিকাশে এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলি জটিল সমস্যা সমাধানে অনেক বেশি দক্ষ হতে পারে, যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
আলোর এই দ্বৈত চরিত্র আমাদের বিশ্বের মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলির একটি, যা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।