পারমাণবিক ফিউশন শক্তি সংস্থাগুলো নতুন সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ফিউশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে সোনা তৈরির কথা ভাবছে।
একটি স্টার্টআপ কোম্পানি দাবি করেছে, তারা পারদকে সোনায় রূপান্তর করার একটি নতুন উপায় খুঁজে পেয়েছে । তাদের পদ্ধতি হলো, ফিউশন বিক্রিয়ার সময় উৎপন্ন নিউট্রন ব্যবহার করে পারদ-১৯৮ কে পারদ-১৯৭-এ পরিবর্তন করা, যা স্থিতিশীল সোনা-১৯৭-এ পরিণত হতে পারে ।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ফিউশন শক্তি আমাদের গ্রহের জন্য অফুরন্ত এবং পরিচ্ছন্ন শক্তির জোগান দিতে পারে । ফিউশন প্রক্রিয়ায়, পারমাণবিক নিউক্লিয়াসগুলো একত্রিত হয়ে বিপুল পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন করে ।
ফিউশন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মূল্যবান সম্পদ তৈরি করা গেলে তা অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
চীনে HL-2M টোকামাক নামক একটি পরীক্ষামূলক ফিউশন ডিভাইস রয়েছে, যা ফিউশন গবেষণায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ । এই ডিভাইসটি ১৫০ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা অর্জন করতে পারে, যা সূর্যের কেন্দ্রের চেয়েও দশ গুণ বেশি ।
ফিউশন থেকে সোনা তৈরির ধারণাটি নিউক্লিয়ার ফিউশন শক্তির সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।