বৃহৎ প্রাণী কি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সাহায্য করতে পারে? নিউফাউন্ডল্যান্ডের গবেষকরা অনুসন্ধান করছেন কীভাবে মুস এবং ক্যারিবু বাস্তুতন্ত্রে কার্বন চক্রে অবদান রাখে। এই গবেষণাটি বাস্তুতন্ত্র এবং বায়ুমণ্ডলের মধ্যে কার্বন বিনিময়ের ভারসাম্য রক্ষায় প্রাণীদের প্রায়শই উপেক্ষিত ভূমিকার উপর আলোকপাত করে।
মেমোরিয়াল ইউনিভার্সিটির ক্রিস্টি ফেরেরো অধ্যয়ন করছেন কীভাবে এই তৃণভোজীরা উদ্ভিদের বায়োমাস গ্রহণ এবং পুনর্ বিতরণ করে। তারা মাড়ানো এবং পুষ্টি জমা করার মাধ্যমে মাটির গঠনকেও প্রভাবিত করে। এই প্রক্রিয়াটি একটি লুপ তৈরি করে যেখানে প্রাণীরা বাস্তুতন্ত্রকে সমর্থন করে এবং বাস্তুতন্ত্র প্রাণীদের সমর্থন করে।
ওসওয়াল্ড শ্মিটজের 2018 সালের গবেষণায় জোর দেওয়া হয়েছে যে প্রাণীরা কার্বন বিনিময়কে মধ্যস্থতা করে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং আবাসস্থল হ্রাস বড় স্তন্যপায়ী প্রাণীর সংখ্যা হ্রাস করেছে, যা তাদের কার্বন চক্রের প্রভাবকে হ্রাস করেছে। এই প্রাণী জনসংখ্যা বোঝা এবং সমর্থন করা মূল্যবান জলবায়ু সমাধান দিতে পারে।
মেমোরিয়াল ইউনিভার্সিটির শন লেরক্স আরও উল্লেখ করেছেন যে মুস গাছপালা খাওয়ার ফলে কার্বন নির্গত হয়, তবে তাদের বিষ্ঠা নতুন বৃদ্ধিকে পুষ্ট করে। এলিজাবেথ ফোর্বস তৃণভোজী এবং মাটির জীবাণুর মধ্যে সম্পর্কের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে প্রাণীদের কার্বন চক্র পরিমাপ করতে রোবট ব্যবহার করছেন। এই প্রচেষ্টাগুলির লক্ষ্য হল কীভাবে ভূগর্ভে কার্বন সঞ্চয় সর্বাধিক করা যায় তা বোঝা।
যদিও প্রাণীদের কার্বন চক্র গবেষণা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবে এটি প্রকৃতি-ভিত্তিক জলবায়ু সমাধান হিসাবে প্রতিশ্রুতি দেখাচ্ছে। গবেষকরা প্রাণীর জনসংখ্যা, শরীরের আকার এবং খাদ্যাভ্যাস কীভাবে কার্বন চক্রকে প্রভাবিত করে তা বোঝার জন্য কাজ করছেন। এই জ্ঞান কার্বন ক্যাপচার বাড়ানোর জন্য ট্রফিক রিউইল্ডিংয়ের মতো উদ্ভাবনী সংরক্ষণ পদ্ধতির দিকে পরিচালিত করতে পারে।