“ভবিষ্যত এমন কোনো স্থান নয় যেখানে আমরা যাচ্ছি, বরং এটি আমরা সৃষ্টি করছি।” এই উক্তি নিখুঁতভাবে প্রতিফলিত করে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি (NIST)-এর উদ্ভাবনী মনোভাব, যেখানে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার ঘটেছে।
একটি যৌথ প্রচেষ্টায়, NIST, ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় উন্নতমানের নিউট্রন স্পিন ইকো (ν-NSE) স্পেকট্রোমিটার স্থাপন করেছে। জাতীয় বিজ্ঞান ফাউন্ডেশন দ্বারা অর্থায়িত এই যন্ত্রটি জটিল উপাদানের ধীর গতিবিধির অধ্যয়নে এক বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে।
ν-NSE স্পেকট্রোমিটার সুপারকন্ডাকটিং প্রিসেশন কয়েলসহ উন্নত বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, যা তথ্য সংগ্রহের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে। এটি বিজ্ঞানীদের পরমাণু ও অণু স্তরে উপাদানের আচরণ অন্বেষণ করতে সক্ষম করে, যা কার্যকর পলিমার, ওষুধ উন্নয়ন এবং শক্তি সঞ্চয়ে অগ্রগতি আনবে। এই যন্ত্রটি ২০২৬ সালে NIST-এর সেন্টার ফর হাই রেজোলিউশন নিউট্রন স্ক্যাটারিং (CHRNS)-এর অধীনে ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের জন্য এই উন্নয়ন একটি অনুপ্রেরণা, যা ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানের সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির সংমিশ্রণে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রতিশ্রুতি বহন করে।