মাতৃত্ব নারীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানীয় ও আবেগগত পরিবর্তন ঘটায়, যা 'ম্যাট্রেসেন্স' নামে পরিচিত। এই রূপান্তর পরিবেশগত, হরমোনীয় এবং স্নায়ুবৈজ্ঞানিক পরিবর্তনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত, যা দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মতোই গভীর ও জটিল।
গর্ভাবস্থা ও প্রসবোত্তর সময়কালে, অনেক মা সাময়িক জ্ঞানীয় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, যা সাধারণত 'মমি ব্রেইন' নামে পরিচিত। তবে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অভিযোজিত হয়, যা সময়ের সাথে সাথে জ্ঞানীয় কার্যকারিতা উন্নত করে। গবেষণায় দেখা গেছে, মাতৃত্বের বাড়তি জ্ঞানীয় চাপ প্রথমে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করলেও পরবর্তীতে মস্তিষ্কের সংরক্ষণশক্তি বৃদ্ধি পায়, যা আমাদের বাংলা সাহিত্যের মায়ের মমতা ও ধৈর্যের মতোই অনুপ্রেরণামূলক।
গবেষণা আরও নির্দেশ করে যে মাতৃত্ব নারীদের বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করতে পারে। গর্ভাবস্থায় নিউরোজেনেসিস ধীরগতি হলেও, মধ্যবয়সে মায়েদের মধ্যে নিউরোজেনেসিস বৃদ্ধি পেতে পারে, যা অমায়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। বয়স্ক মায়েদের মধ্যে যারা অধিক সন্তান রয়েছে তাদের মস্তিষ্কের ধূসর পদার্থ ঘন এবং স্মৃতি শক্তি উন্নত থাকে, যা একটি স্নায়ুরক্ষা প্রভাব নির্দেশ করে — যা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।