দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে, যেখানে পরিবার ও স্বাস্থ্যকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করা হয়, গবেষকরা টাইপ ১ ডায়াবেটিসের সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসেবে মানব প্যানক্রিয়াটিক কোষের বায়ো-প্রিন্টিং নিয়ে কাজ করছেন। এর লক্ষ্য হলো ইনসুলিনের নিয়মিত ইনজেকশনের প্রয়োজনীয়তা কমানো বা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা।
বায়ো-প্রিন্টিং হল একটি সংযোজনী উৎপাদন প্রক্রিয়া, যা জীববৈজ্ঞানিক উপাদান ব্যবহার করে ত্রিমাত্রিক কাঠামো তৈরি করে। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে, এই পদ্ধতিতে মানব প্যানক্রিয়াটিক আইস্লেট কোষ প্রিন্ট করা হয়েছে, যা ইনসুলিন উৎপাদনের জন্য দায়ী।
Advanced Healthcare Materials জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় মানব প্যানক্রিয়াটিক টিস্যু এবং সাগরের শৈবাল থেকে প্রাপ্ত অ্যালজিনেট দিয়ে একটি বায়ো-ইঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। এই বায়ো-ইঙ্কের মাধ্যমে মানব প্যানক্রিয়াটিক আইস্লেট কোষ প্রিন্ট করা সম্ভব হয়েছে, যা তাদের জীবন্ততা, রূপ এবং কার্যকারিতা বজায় রেখেছে।
গবেষণার ফলাফল নির্দেশ করে যে বায়ো-প্রিন্ট করা কোষগুলি গ্লুকোজের উপস্থিতিতে ইনসুলিন নিঃসরণের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইস্লেট প্রস্তুতির চেয়ে অধিক কার্যকর। এছাড়াও, তারা রক্তে শর্করার মাত্রা সনাক্ত এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম হয়েছে, এবং তাদের গঠন বজায় রেখে একত্রিত বা ভেঙে পড়েনি।
গবেষণা দল বর্তমানে এই বায়ো-প্রিন্ট করা কোষগুলির উপর প্রাণী মডেলে পরীক্ষা চালাচ্ছে এবং দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণের উপায় অনুসন্ধান করছে। এই উদ্যোগগুলি নতুন এই চিকিৎসাকে ব্যাপকভাবে উপলব্ধ করার লক্ষ্যে, যা প্রচলিত টাইপ ১ ডায়াবেটিস চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে।