বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে মানুষের ডিএনএ-তে লেখা 'বারকোড' বিশ্লেষণ করে জানা যায় রক্ত কীভাবে বার্ধক্য হয়, যা লিউকেমিয়ার মতো রক্ত-সম্পর্কিত রোগের প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং জেনেটিক পরিবর্তন ছাড়াই পুনর্যৌবন থেরাপির পথ প্রশস্ত করতে পারে। মে ২০২৫ সালে নেচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় হাইলাইট করা হয়েছে যে রক্তের স্টেম কোষগুলি কীভাবে বয়সের সাথে সাথে তাদের বৈচিত্র্য হারায়, যা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের সাথে যুক্ত ক্লোনগুলিকে সমর্থন করে, এই পরিবর্তনটি সাধারণত ৬০ বছর বয়সের পরে দেখা যায়।
মূল অনুসন্ধান
গবেষকরা এখন এই বার্ধক্য কোষগুলিকে সনাক্ত করতে পারেন, যা সম্ভবত শরীরের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে পারে। EPI-Clone নামক নতুন কৌশলটি মানুষের মধ্যে পুনর্যৌবন থেরাপির সরাসরি অধ্যয়নের অনুমতি দেয়। ডাক্তাররা প্রাথমিক রোগ সনাক্তকরণের জন্য রক্তের ক্লোনাল আচরণ মূল্যায়ন করতে পারেন, যারা প্রতিরোধমূলক যত্নের প্রয়োজন হতে পারে তাদের পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। এই পদ্ধতিটি প্রাকৃতিকভাবে ঘটে যাওয়া সোমাটিক এপিমিউটেশনকে স্থিতিশীল বারকোড হিসাবে ব্যবহার করে, যা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়াই উচ্চ-থ্রুপুট বংশের সন্ধান করতে সক্ষম করে।
ভবিষ্যতের চিকিৎসার জন্য প্রভাব
আবিষ্কারটি ক্যান্সারে, বিশেষ করে রক্তের ক্যান্সারে প্রাথমিক হস্তক্ষেপের আশা জাগায়, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে। উপরন্তু, প্রভাবশালী ক্লোন প্রায়শই আরও মায়েলয়েড কোষ তৈরি করে, যা ইমিউন সিস্টেমকে প্রদাহের দিকে ঝুঁকিয়ে দেয়, যা থেকে বোঝা যায় যে বয়স-সম্পর্কিত ক্লোনাল নির্বাচন সক্রিয়ভাবে পদ্ধতিগত ইমিউন হ্রাসের আকার দেয়। এই পদ্ধতিটি কার্যকরী পতন স্পষ্ট হওয়ার আগে প্রাক-ক্লিনিক্যাল পরিবর্তনগুলি সনাক্ত করতেও সাহায্য করতে পারে, যা বার্ধক্যকে ধীর বা বিপরীত করার থেরাপির পথ খুলে দেয়।