সুইডেনের স্টকহোমের উত্তরে টাবি-তে ভাইকিং-যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার করা হয়েছে। ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে, আর্কিওলোগের্নার প্রত্নতত্ত্ববিদরা একটি বৃহৎ খামার, কবরস্থান এবং রৌপ্য ভান্ডার আবিষ্কার করেছেন। এই ভান্ডারটি হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে চাপা পড়ে ছিল।
এই আবিষ্কারগুলোর বিস্তারিত অধ্যয়ন মূল্যবান তথ্য প্রদান করেছে। এটি ৫০০ থেকে ১০৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জীবনযাত্রার অন্তর্দৃষ্টি প্রকাশ করে। এই সময়কাল লৌহ যুগের শেষ এবং মধ্যযুগের শুরুর দিকের।
ভিগবিহোমের প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটে ৩৪টি ভবন এবং পাঁচটি কবরের অবশেষ রয়েছে। খননকার্যের ফলে প্রায় ১,৪৫০টি বস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার ছিল ভাইকিং-যুগের রৌপ্য ভান্ডার।
ভান্ডারটি একটি পাথরের আবরণে ঢাকা একটি সিরামিকের পাত্রে পাওয়া যায়। ভিতরে, প্রত্নতত্ত্ববিদরা পরাগ অবশেষ, রৌপ্য নেকলেস এবং ব্রেসলেট এবং একটি রৌপ্য তাবিজ আবিষ্কার করেছেন। এছাড়াও পুঁতি, বারোটি মুক্তার লকেট এবং ইউরোপীয় ও ইসলামিক মুদ্রা ছিল।
মুদ্রাগুলো ৯০৪ থেকে ৯৯৭ সালের মধ্যে পারস্য, বাভারিয়া, বোহেমিয়া, নরম্যান্ডি এবং ইংল্যান্ডে তৈরি করা হয়েছিল। ভান্ডারটি রেশমের অলঙ্করণসহ একটি বিলাসবহুল লিনেন ব্যাগে মোড়ানো ছিল। রৌপ্য আয়নগুলোর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য কাপড়টিকে রক্ষা করেছিল।
প্রত্নতত্ত্ববিদ জন হ্যামিল্টন এই আবিষ্কারকে অসাধারণ বলেছেন। তিনি রৌপ্য বস্তুর বৈচিত্র্য এবং খামার ও কবরস্থানের সাথে তাদের সংযোগের কথা উল্লেখ করেছেন। সম্ভবত কোনো উচ্চপদস্থ মহিলার জন্য একটি অনুষ্ঠানের সময় ভান্ডারটি কবর দেওয়া হয়েছিল।
বসতির পনেরোটি কাঠামোতে আচার-অনুষ্ঠানের কাজ ছিল বলে মনে হয়। প্রত্নতত্ত্ববিদরা সেখানে আচার-অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে কবর দেওয়া বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন। মৃৎশিল্প থেকে বাল্টিক সাগর জুড়ে অঞ্চলগুলোর সাথে যোগাযোগ বা স্থানান্তরের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
কিছু পাত্র স্থানীয় মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল তবে দূরবর্তী অঞ্চলের শৈলীর মতো ছিল। এটি দীর্ঘ দূরত্বে বাণিজ্য বা বিদেশীদের দ্বারা অধ্যুষিত একটি বসতি নির্দেশ করে। কঙ্কালের অবশেষের ডিএনএ বিশ্লেষণে পারিবারিক সম্পর্ক এবং একজন ব্যক্তি সম্প্রদায়ের বাইরে থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
ফলাফলের প্রতিবেদনগুলো ভাইকিং-যুগের সুইডেনের একটি বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরে। এগুলো ঐতিহ্য, বাণিজ্য সম্পর্ক এবং সামাজিক কাঠামো সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।