তামিলনাড়ুর কীলাদিতে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য ভারতীয় সভ্যতার প্রাচীনত্ব এবং বিকাশের উপর নতুন আলোকপাত করেছে। ২০১৪ সাল থেকে শুরু হওয়া খননকার্যে এখানকার বসতি খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের বলে জানা গেছে, যা গাঙ্গেয় উপত্যকার নগরায়নের সমসাময়িক।
খননকার্যে ১৮,০০০-এর বেশি শিল্পকর্ম খুঁজে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তামিল ব্রাহ্মী লিপিতে খোদাই করা লিপিও রয়েছে, যা থেকে ভারতে অক্ষরজ্ঞান এবং লিপির বিকাশের সময়সীমা নতুন করে নির্ধারণ করা যেতে পারে।
কীলাদি-র খননকার্য প্রমাণ করে যে প্রাচীন ভারতীয় সমাজ পূর্বে যা মনে করা হতো, তার চেয়ে অনেক বেশি উন্নত ছিল। ২০২২ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় উন্নত মৃৎশিল্প এবং অত্যাধুনিক কারুশিল্পের ব্যবহার চিহ্নিত করা হয়েছে, যা একটি উন্নত অর্থনীতির ইঙ্গিত দেয়।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) মূল খননকারীর রিপোর্ট সংশোধনের জন্য অনুরোধ জানালে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। যদিও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান যে রিপোর্টটি এখনও পর্যালোচনার অধীনে রয়েছে।
কীলাদি-র আবিষ্কার ভারতীয় সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিকশিত হয়েছে।
এই খননকার্য Vaigai নদীর তীরে তামিলনাড়ুতে একটি নগর সভ্যতার প্রমাণ দেয়। এখানে খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রকার মৃৎপাত্র, গয়না, এবং অন্যান্য শিল্পকর্ম থেকে বোঝা যায় যে এখানকার মানুষ উন্নত জীবনযাপন করত।
কীলাদিতে প্রাপ্ত কিছু প্রতীক সিন্ধু সভ্যতার প্রতীকগুলোর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা এই দুইটি প্রাচীন সভ্যতার মধ্যে কোনো যোগসূত্র ছিল কিনা, তা জানার আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি এখন ইতিহাস প্রেমীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হয়ে উঠেছে।