বোলিভিয়ার ওরুরো অঞ্চলে প্যালাসপাতা মন্দির কমপ্লেক্সের আবিষ্কার তিয়াওয়ানাকো সভ্যতার উপর নতুন আলোকপাত করেছে। এই আবিষ্কার আমাদের সেই সময়ের বাণিজ্য, সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে। ঐতিহাসিক-কালানুক্রমিক প্রেক্ষাপটে এই নিবন্ধে আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি নিয়ে আলোচনা করব।
প্যালাসপাতা মন্দির কমপ্লেক্সটি প্রায় ১২৫ বাই ১৪৫ মিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং ১৫টি বর্গাকার কক্ষ নিয়ে গঠিত। এটির বিন্যাস থেকে বোঝা যায় যে এটি বিষুব সংক্রান্ত আচার-অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হত। এখানে কেরু কাপের টুকরা পাওয়া গেছে, যা কৃষি উৎসবের সময় চিচা পান করার জন্য ব্যবহৃত হত। এই আবিষ্কার প্রমাণ করে যে প্যালাসপাতা বাণিজ্য এবং ধর্মীয় কেন্দ্র হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ওয়েব অনুসন্ধানে জানা গেছে যে প্যালাসপাতা তিনটি প্রধান বাণিজ্য পথের সংযোগস্থলে অবস্থিত ছিল: উত্তরে লেক টিটিকাকার আশেপাশের উচ্চভূমি, পশ্চিমে শুকনো আলtiপ্লানো এবং পূর্বে কোচাবাম্বা অঞ্চলের উর্বর উপত্যকা। এই সংযোগটি ইঙ্গিত করে যে প্যালাসপাতা শুধু একটি ধর্মীয় স্থান ছিল না, বরং এটি বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে পণ্য ও মানুষের আদান-প্রদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে আরও জানা গেছে যে, এখানে প্রায় ৬০০০-এর বেশি মৃৎপাত্র তৈরি করা হয়েছিল, যা সেই সময়ের কারুশিল্পের প্রমাণ দেয়।
তিয়াওয়ানাকো সভ্যতা চতুর্থ থেকে অষ্টম শতাব্দীর মধ্যে বিদ্যমান ছিল এবং প্রায় ১০০০ খ্রিস্টাব্দে এর পতন হয়। তবে এর প্রভাব দীর্ঘকাল ধরে অনুভূত হয়েছিল এবং পরে ইনকাদের দ্বারা মানবজাতির আদি উৎস হিসেবে সম্মানিত হয়েছিল। প্যালাসপাতার আবিষ্কার তিয়াওয়ানাকো সভ্যতার সামাজিক কাঠামো, ধর্ম এবং বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন তথ্য সরবরাহ করে। এই আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা সেই সময়ের জটিলতা এবং প্রভাবগুলি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি।