নতুন গবেষণা হোমো সেপিয়েন্স, নিয়ান্ডারথাল এবং ডেনিসোভানদের মধ্যে জটিল সম্পর্কগুলির উপর আলোকপাত করে, যা পূর্বে মনে করা ইতিহাসের চেয়েও জটিল বিবর্তনীয় চিত্র প্রকাশ করে । এই প্রজাতিগুলির মধ্যে আন্তঃক্রিয়াগুলি আমাদের নিজেদের মানবজাতির উৎপত্তির ইতিহাস এবং আধুনিক মানুষের জিনগত গঠন বুঝতে সহায়ক ।
*নেচার জেনেটিক্স*-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, আধুনিক মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ডেনিসোভান জনসংখ্যা থেকে জিন প্রবাহের অন্তত তিনটি স্বতন্ত্র উদাহরণ সনাক্ত করা হয়েছে, যা ইন্ট্রোগ্রেসন নামে পরিচিত । এই আবিষ্কারগুলি এই প্রজাতিগুলির মধ্যে একটি জটিল আন্তঃক্রিয়ার ইঙ্গিত দেয় ।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে, আধুনিক মানুষেরা অন্তত তিনটি ভিন্ন সময়ে নিয়ান্ডারথালদের সাথে মিলিত হয়েছিল । এই ঘটনাগুলি নিয়ান্ডারথাল জিনোমের গঠনে প্রভাব ফেলেছিল ।
নিয়ান্ডারথালরা বিভিন্ন ধরণের সরঞ্জাম তৈরি করত, যা তাদের বুদ্ধিমত্তা এবং অভিযোজন ক্ষমতার প্রমাণ । তারা চামড়া প্রক্রিয়াকরণের জন্য স্ক্র্যাপার, কাঠ এবং হাড় কাটার জন্য বুরিন এবং ধারালো বর্শা তৈরি করত ।
প্রায় ৬০,০০০ বছর আগে, নিয়ান্ডারথালরা গুহায় ছবি এঁকেছিল, যা প্রমাণ করে যে তাদের মধ্যে প্রতীকী চিন্তা করার ক্ষমতা ছিল । স্পেনের তিনটি গুহায় এই চিত্রগুলির সন্ধান পাওয়া গেছে ।
কিছু গবেষক মনে করেন, ডেনিসোভানরা হোমো প্রজাতির একটি নতুন উপ-প্রজাতি ছিল । ডেনিসোভানদের সামান্য কিছু জীবাশ্ম আবিষ্কার করা গেছে । তবে, আধুনিক মানুষের জিনোমে তাদের অবদানের কারণে তারা মানবজাতির বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ।
প্রাচীন জিনোমগুলির গবেষণা আমাদের পূর্বপুরুষদের জিনগত বৈচিত্র্য বুঝতে সাহায্য করে এবং কীভাবে এটি আজকের মানুষের বৈশিষ্ট্যগুলিতে অবদান রেখেছে । এই জ্ঞান মানুষের স্বাস্থ্য এবং রোগ বোঝার জন্য খুবই জরুরি ।