ফিলিপাইনে সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ক্রিসিংয়ের প্রভাবে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, যা দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে।
জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল (NDRRMC) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর (হাবাগাত) সম্মিলিত প্রভাবে প্রায় ৩৭,৫০০ পরিবার বা ৯৬,৭৯১ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১১,৬৮৯ জন ৩৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
বন্যা ও ভূমিধসের কারণে অন্তত তিনজন নিহত এবং তিনজন নিখোঁজ হয়েছে। এছাড়াও, ১৫০টি এলাকায় বন্যা, ২৬টি ভূমিধস ও ১১টি টর্নেডোর ঘটনা ঘটেছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য সরকার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেছে। মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
ফিলিপাইনে প্রতি বছরই ২০টির বেশি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে, যা সেখানকার মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে। তাই, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নীতিগুলোতেও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।