হিমাচল প্রদেশে বর্ষার তাণ্ডব: একটি সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

সম্পাদনা করেছেন: Tetiana Martynovska 17

হিমাচল প্রদেশে বর্ষার দুর্যোগ অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে। জুন মাসের ২০ তারিখ থেকে জুলাই মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত, রাজ্যজুড়ে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (SDMA) জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা, মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং ভূমিধসের কারণে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ ও ভূমিধসের কারণে ২৩০টির বেশি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে, যা পরিবহণে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এছাড়াও, ৪১টি বিদ্যুৎ বিতরণ ট্রান্সফরমার অকেজো হয়ে পড়েছে, যার ফলে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। মান্ডি জেলা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে ১৫৩টি রাস্তা বন্ধ এবং বিদ্যুৎ ও জলের সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে যাওয়ার এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। ত্রাণ ও পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।

এই বিপর্যয়ের ফলে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব পড়েছে। দুর্যোগের কারণে অনেক মানুষ তাদের বাড়িঘর ও প্রিয়জনদের হারিয়েছে, যা তাদের মধ্যে গভীর শোক ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা খাদ্য, জল এবং আশ্রয়ের অভাবে তীব্র মানসিক কষ্টের শিকার হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কাউন্সেলিং এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করছে। স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সহানুভূতি ও সহযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়েছে, যা পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে। দুর্যোগের পরে সমাজে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

উৎসসমূহ

  • english

  • The Economic Times

  • NDTV

  • ABP Live News

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।

হিমাচল প্রদেশে বর্ষার তাণ্ডব: একটি সামাজিক... | Gaya One