প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঘণ্টায় ৭৫ মাইল বেগে বাতাস সৃষ্টিকারী ঝঞ্ঝা বেঞ্জামিন বর্তমানে ডেনমার্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই শক্তিশালী আবহাওয়াজনিত ব্যবস্থার সরে যাওয়ার পরপরই, একটি বিশাল শীতল আর্কটিক বায়ুর স্রোত দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার ফলে আসন্ন সপ্তাহান্তে গড় তাপমাত্রার চেয়েও নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়ার এই আকস্মিক পরিবর্তন একটি বৃহত্তর প্রাকৃতিক চক্রের অংশ, যা শক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে পরিবেশের স্থিতিস্থাপকতাকে প্রতিফলিত করে।
ইউকে-এর আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতিতে এই ধরনের দ্রুত পরিবর্তন নতুন নয়; এটি মূলত বায়ুমণ্ডলীয় প্রবাহ, বিশেষত জেট স্ট্রিমের অবস্থানের উপর নির্ভরশীল। মেট অফিসের ডেপুটি চিফ মেটিওরোলজিস্ট ক্রিস বুলমার নিশ্চিত করেছেন যে বেঞ্জামিন ইউকে ত্যাগ করে ডেনমার্কের দিকে সরে গেলে এই শীতলতা অনুভূত হবে। যদিও অধিকাংশ অঞ্চলে রোদ ঝলমলে আবহাওয়া এবং শুষ্ক পরিস্থিতি বজায় থাকার পূর্বাভাস রয়েছে, উত্তর দিক থেকে আসা তীব্র বাতাস একটি লক্ষণীয় শীতল অনুভূতি দেবে।
এই বৈচিত্র্যময় আবহাওয়ার মধ্যে, উত্তর ও পশ্চিমের কিছু অংশে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে এবং স্কটিশ পর্বতমালায় কিছু পরিমাণ তুষারপাতও হতে পারে। এই পরিস্থিতি স্মরণ করিয়ে দেয় যে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই বিভিন্ন শক্তির সহাবস্থান সম্ভব। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, ইউকে একাধিক ঝঞ্ঝার সম্মুখীন হয়েছে, যেখানে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে; একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝোড়ো দিনের গড় বৃষ্টিপাত প্রায় ২০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঝঞ্ঝার প্রভাবে স্থানীয়ভাবে কিছু সতর্কতাও জারি ছিল। ইস্ট অ্যাংলিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে ঘণ্টায় ৫৫ মাইল পর্যন্ত শক্তিশালী বাতাসের সতর্কতা বিকেল ৩টা পর্যন্ত এবং নরফোক ও সাফোক অঞ্চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কার্যকর ছিল। এই সতর্কতাগুলি বৃহত্তর প্রাকৃতিক শক্তি কীভাবে স্থানীয় কাঠামো এবং দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে, তা তুলে ধরে। রবিবার নাগাদ, পশ্চিম দিক থেকে একটি নতুন আবহাওয়া ফ্রন্ট এসে এই শীতল বায়ুকে প্রতিহত করবে এবং বৃষ্টির একটি পর্ব নিয়ে আসবে, যা আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি বজায় রাখবে।
