দক্ষিণ এশিয়া ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের কবলে

সম্পাদনা করেছেন: Tetiana Martynovska 17

গত ২৪ ঘন্টায় ভারত ও পাকিস্তানে ভয়াবহ মৌসুমী বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় কাশ্মীরের হিমালয় অঞ্চলে ১৪ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে একটি মেঘ ফাটার ঘটনায় চোশিতি গ্রামে প্রায় ৬০ জনের প্রাণহানি এবং ২০০ জনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই দুর্যোগে মাচাইল মাতা যাত্রা, একটি ধর্মীয় তীর্থযাত্রার পথও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই তীর্থযাত্রা ২৫ জুলাই শুরু হয়েছিল। উদ্ধারকারীরা ৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় চিকিৎসা প্রদান করেছেন। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অন্তত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মানসেরা জেলার সিরান উপত্যকায় বন্যা ও ভূমিধসের কারণে আটকে পড়া ১,৩০০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। কারাকোরাম হাইওয়েও ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা এই চরম আবহাওয়ার ব্যাপক প্রভাব নির্দেশ করে।

বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই মৌসুমী বৃষ্টিজনিত ঘটনাগুলির তীব্রতা এবং পুনরাবৃত্তি বৃদ্ধির জন্য দায়ী করছেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মারাত্মক মেঘ ফাটা এবং পরবর্তী বিপর্যয়মূলক বন্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে এই ঘটনাগুলি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক, যেখানে বুনের জেলায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে। ১৪ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে একটি মেঘ ফাটার ঘটনায় বুনের জেলায় অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অনেক বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। উদ্ধারকারীরা নৌকা ও হেলিকপ্টারের সাহায্যে আটকে পড়া বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ার বর্ষার উপর ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা চরম বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও ঘন ঘন এবং তীব্র বন্যা ও ভূমিধসের কারণ হতে পারে। এই দুর্যোগগুলি কেবল জীবনহানিই ঘটাচ্ছে না, বরং পরিকাঠামো এবং অর্থনীতিতেও ব্যাপক ক্ষতি করছে। এই সংকট মোকাবেলায় জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য।

উৎসসমূহ

  • Pulse24.com

  • Reuters

  • AP News

  • AP News

  • Phys.org

  • The Hindu

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।