কম্পটনের এক বাসিন্দা, জেসিকা ওর্তিজ, তার বাড়ির নিরাপত্তা ক্যামেরায় এক রহস্যময় মানবাকৃতির ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন। গত ৫ই জুলাই, ২০২৫ সালের এক গভীর রাতে, তার বাগানে এই অদ্ভুত আকৃতির বস্তুটি দেখা যায়। বাড়ির প্রবেশদ্বারের আলোয় আবছাভাবে দৃশ্যমান এই অবয়বটি অস্বাভাবিক ভঙ্গিমায় চলাচল করছিল, যা দেখে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। জেসিকা ওর্তিজের ছেলে মনে করছেন এটি কোনো ভিনগ্রহের প্রাণী হতে পারে। তবে, জেসিকা নিজে পুলিশকে জানাননি, কারণ তিনি ভয় পাচ্ছিলেন যে তার এই অভিযোগকে কেউ গুরুত্ব দেবে না। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই ধরনের ঘটনা সম্পর্কে কোনো নিশ্চিত তথ্য প্রদান করেনি।
এই ধরনের অলৌকিক ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে লাস ভেগাসে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে এক পরিবার তাদের বাগানে উজ্জ্বল আলো দেখতে পাওয়ার পর প্রায় ২.৪ থেকে ৩ মিটার লম্বা কিছু প্রাণীর উপস্থিতির কথা জানায়। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই ধরনের বিশ্বাস অনেক সময় মানুষের মনস্তাত্ত্বিক কারণের উপর নির্ভর করে। যখন মানুষ কোনো অনিশ্চয়তা বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, তখন তারা প্রায়শই অলৌকিক বা অতিপ্রাকৃত ব্যাখ্যা খোঁজে। এটি এক ধরনের প্যাটার্ন খোঁজার প্রবণতা, যা আমাদের মস্তিষ্ককে এলোমেলো ঘটনাকেও অর্থপূর্ণ করে তুলতে সাহায্য করে। অনেক সময়, এই ধরনের ঘটনাগুলি মানুষের মনের গভীরে থাকা ভয় বা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনও হতে পারে। এই ঘটনার পর থেকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের জল্পনা-কল্পনা চলছে। কেউ কেউ মনে করছেন এটি কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা প্র্যাঙ্ক হতে পারে, আবার কেউ কেউ এটিকে ভিনগ্রহের প্রাণীর আগমনের লক্ষণ হিসেবে দেখছেন। এই ধরনের ঘটনাগুলি আমাদের চারপাশের জগত সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে এবং অজানা রহস্যের প্রতি মানুষের চিরন্তন কৌতূহলকে জাগিয়ে তোলে।