ব্যাংককে অবস্থিত প্রফেসর কাসিন সুভতাবন্ধু হার্বেরিয়াম, যা ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, থাইল্যান্ডের ফরেনসিক বিজ্ঞানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভিদ উপাদানের বিশ্লেষণের মাধ্যমে অপরাধমূলক মামলাগুলিতে অত্যাবশ্যকীয় প্রমাণ সরবরাহ করে, যা সন্দেহভাজনদের অপরাধস্থলের সাথে সংযুক্ত করতে এবং ঘটনার সময়কাল নির্ধারণে সহায়তা করে। প্রায় ২০,০০০ এরও বেশি নমুনা সহ, এই ভেষজ সংগ্রহশালাটি কেবল একাডেমিক গবেষণার কেন্দ্রই নয়, বরং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির জন্যও একটি অমূল্য সম্পদ হিসেবে কাজ করছে।
বিজ্ঞান পরিষেবা কর্মকর্তা মিসেস পারিন্যানুট ক্লিনরটানা হার্বেরিয়ামের বহুমুখী ভূমিকার উপর আলোকপাত করেছেন। তিনি এমন কিছু ঘটনার উদাহরণ দিয়েছেন যেখানে সন্দেহভাজনদের পোশাকে পাওয়া উদ্ভিদের অংশ বিশ্লেষণ করে তাদের উৎস নির্ধারণ করা হয়েছে, এমনকি তারা কোনো নিষিদ্ধ এলাকা থেকে এসেছে কিনা তাও জানা গেছে। এটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছে। একইভাবে, হার্বেরিয়ামটি কাস্টমস বিভাগকে নির্দিষ্ট উদ্ভিদ প্রজাতি শনাক্তকরণ এবং তাদের উৎস খুঁজে বের করতে সহায়তা করেছে, যেমন একটি ক্ষেত্রে গাড়ির গ্রিলে পাওয়া উদ্ভিদের উপাদান আক্রমণাত্মক কিনা তা যাচাই করা হয়েছিল, যা রপ্তানি সংক্রান্ত নিয়মাবলী মেনে চলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ফরেনসিক তদন্তে উদ্ভিদ প্রমাণের ব্যবহার নতুন নয়; উদ্ভিদবিদ্যা, যা উদ্ভিদের অধ্যয়ন, অপরাধ তদন্তে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। হার্বেরিয়ামগুলি, যেখানে উদ্ভিদ নমুনাগুলি যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করা হয়, সেগুলি ফরেনসিক বিজ্ঞানীদের জন্য অপরিহার্য রেফারেন্স হিসেবে কাজ করে। এই নমুনাগুলি সন্দেহভাজনদের অপরাধস্থলের সাথে সংযুক্ত করতে পারে, কারণ উদ্ভিদের ক্ষুদ্র কণা, যেমন পরাগ বা পাতার অংশ, যা প্রায়শই মানুষের পোশাক বা সম্পত্তির সাথে লেগে থাকে, তা অপরাধীর গতিবিধি সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য দিতে পারে। ডিএনএ-ভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করে উদ্ভিদের উৎস সনাক্তকরণ, এমনকি মাদক পাচারের মতো আন্তঃসীমান্ত অপরাধের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন মামলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে সহায়ক হতে পারে। এই ধরনের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ বিচার ব্যবস্থায় নির্ভুলতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়। দশকের পর দশক ধরে যত্ন সহকারে নমুনা সংরক্ষণ এবং বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণের মাধ্যমে, এই হার্বেরিয়ামটি থাইল্যান্ডের একটি জাতীয় উদ্ভিদ ডেটাবেস হিসেবে কাজ করে, যা দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতির প্রতি সমর্থন যোগায়।