২০২৫ সালের বসন্তে ক্যালিফোর্নিয়ার জনভূমি বন্টন (public domain allotments) নিয়ে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার সামনে এসেছে। এই জমিগুলি, যা প্রায়শই অপরিবর্তিত এবং জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ, ১৮৮৭ সালের ডাওস অ্যাক্টের (Dawes Act) অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে এই অঞ্চলগুলি তাদের পরিবেশগত গুরুত্ব এবং ঐতিহ্যবাহী ভূমি ব্যবস্থাপনার (traditional land stewardship) সম্ভাবনার জন্য বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করছে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ডেভিস (University of California, Davis) আদিবাসী পরিবারগুলির সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই অঞ্চলগুলির তথ্য নথিভুক্ত করছে এবং সম্প্রদায়গুলিকে তাদের পূর্বপুরুষদের ভূমির সাথে পুনরায় যুক্ত হতে উৎসাহিত করছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হল সাংস্কৃতিক অগ্নিসংযোগ (cultural burning) এর মতো ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিগুলির মাধ্যমে পরিবেশগত স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করা এবং দাবানলের ঝুঁকি হ্রাস করা। এই পদ্ধতিগুলি হাজার হাজার বছর ধরে আদিবাসী সম্প্রদায়গুলি দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে আসছে, যা ভূমিকে সুস্থ রাখতে এবং জীববৈচিত্র্য বাড়াতে সহায়ক।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার কর্নিং শহরে (Corning, California) একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন আদিবাসী পরিবারের সদস্য এবং সমর্থকরা এই অনন্য প্রাকৃতিক অঞ্চলের সাথে জড়িত চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই সম্মেলনটি জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো এবং ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেছে। এই ধরনের সম্মেলনগুলি আদিবাসী জ্ঞান এবং আধুনিক বিজ্ঞানের সমন্বয়ে পরিবেশ সংরক্ষণের নতুন পথ খুলে দিচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ১৮৮৭ সালের ডাওস অ্যাক্ট আদিবাসীদের ভূমি অধিকারকে প্রভাবিত করেছিল, কিন্তু বর্তমানে এই জনভূমি বন্টনগুলি (public domain allotments) প্রায় ১৬,০০০ একরের বেশি জমি জুড়ে বিস্তৃত এবং এগুলি আদিবাসী পরিবারগুলির জন্য সাংস্কৃতিক চর্চা, সামাজিক সংযোগ এবং পরিবেশগত সুস্থতার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। এই ভূমিগুলি সম্পত্তি কর বা স্থানীয় নিয়মকানুনের আওতায় পড়ে না, যা তাদের সংরক্ষণে সহায়ক। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ডেভিস, এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাথে মিলে এই অঞ্চলগুলির টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে। এই প্রচেষ্টাগুলি কেবল পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষাই নয়, বরং আদিবাসী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকেও পুনরুজ্জীবিত করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।