ফ্যালাসার্নার প্রাচীন ডেমিটর মন্দিরে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজগুলি নতুন তথ্যের উন্মোচন করতে চলেছে । ২০২৫ সালের আগস্ট মাস থেকে পুনরায় খনন কাজ শুরু হয়েছে ।
খননকাজের প্রথম দিকে, খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতাব্দী থেকে এখানে দেবী ডেমিটরের পূজা করা হতো । প্রথমে একটি প্রাকৃতিক গুহায় এই পূজা শুরু হয়েছিল, যা পরে খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে একটি মন্দিরে রূপান্তরিত হয় ।
খননকার্যের ফলে ডেমিটরের নারী মূর্তি, উৎসর্গীকৃত জিনিসপত্র এবং দেবীর নামের মার্বেল ফলক পাওয়া গেছে । এছাড়াও, late Neolithic period (খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দ) এবং Minoan period-এর বেশ কিছু শিল্পকর্মও আবিষ্কৃত হয়েছে ।
২০২৩ ও ২০২৪ সালের খননে পবিত্র স্থানে উৎসর্গীকৃত বস্তু হিসেবে ব্যবহৃত ভৌত অবশেষ উন্মোচিত হয়েছে । এই আবিষ্কারগুলি ডেমিটর ও পার্সিফোনের সঙ্গে সম্পর্কিত ধর্মীয় অনুশীলন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে ।
২০২৪ সালের আগস্ট মাসে প্রাকৃতিক গুহায় খনন করা হয়, যা এর আদি রূপ এবং একটি নতুন কাঠামো প্রকাশ করে । এই খনন কাজ কিসামোস পৌরসভার সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে ।
প্রাচীন ফ্যালাসার্নার ডেমিটর মন্দিরের পুনরুদ্ধার ক্রিটে দেবীর পূজা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে এবং সেই সময়ের ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করবে ।
প্রত্নতাত্ত্বিকেরা আরও আবিষ্কার করেছেন যে, ফ্যালাসার্না একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল, যা ফিনিশীয় সভ্যতার সঙ্গে যুক্ত ছিল ।
মন্দিরটি ডোরিক শৈলীতে নির্মিত, যেখানে দুটি স্তম্ভ রয়েছে । মন্দিরের স্থাপত্য কাঠামোর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব ।
এই খননকার্যে ৫০০টিরও বেশি শিল্পকর্ম এবং ২০০টি পাথরের পাত্র আবিষ্কৃত হয়েছে । এছাড়াও, অসংখ্য পোড়ামাটির মূর্তি, মিশরীয় ও ফিনিশীয় কাঁচের বস্তু এবং ডোরিক উপভাষায় ডেমিটারের নামাঙ্কিত ফুলদানিও পাওয়া গেছে ।
ফ্যালাসার্নার এই মন্দিরটি শুধুমাত্র ক্রিট নয়, গ্রিসের সংস্কৃতি এবং সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।