'জুলিয়া' শব্দের উৎস সন্ধানে বিজ্ঞান
১৯৯৯ সালের ১ মার্চ ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NOAA) পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একটি রহস্যময় শব্দ রেকর্ড করে, যা 'জুলিয়া' নামে পরিচিত । এই শব্দটি প্রায় তিন মিনিট ধরে শোনা গিয়েছিল এবং এর উৎস আজও বিজ্ঞানীদের কাছে একটি enigma ।
শব্দটির বৈশিষ্ট্য
'জুলিয়া' শব্দটি প্রথমবার শোনার পরে অনেকের কাছে এটিকে "মহিলা কণ্ঠস্বর"-এর মতো মনে হয়েছিল । NOAA-এর হাইড্রোফোন নেটওয়ার্ক, যা ৩,০০০ মাইলের বেশি দূরত্বে অবস্থিত, এই শব্দটি ধরেছিল ।
উৎসের অনুসন্ধান
শব্দটির উৎপত্তিস্থল খুঁজে বের করার জন্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন চেষ্টা করেছেন । NOAA-এর মতে, শব্দটির সম্ভাব্য উৎস ছিল অ্যান্টার্কটিকার কাছে একটি বিশাল বরফ খণ্ড, যা ভেঙে গিয়েছিল । বরফের চাঁই সমুদ্রের তলদেশে ঘষা লাগার কারণেও এমন শব্দ তৈরি হতে পারে ।
রহস্যের জাল
'জুলিয়া' শব্দের উৎস নিয়ে বিভিন্ন তত্ত্ব প্রচলিত আছে । কিছু তত্ত্ব অনুযায়ী, এটি কোনো অজানা সামুদ্রিক প্রাণী বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক ঘটনার ফল হতে পারে । কেউ কেউ আবার এটিকে ভিনগ্রহের প্রাণীর কার্যকলাপ বলেও মনে করেন ।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
NOAA-এর বিজ্ঞানীরা মনে করেন, 'জুলিয়া' শব্দের সবচেয়ে probable উৎস হলো একটি বিশাল আইসবার্গ । তাদের মতে, ১৯৯৯ সালের JD60 21:05GMT সময়ে অ্যান্টার্কটিকার ব্রান্সফিল্ড স্ট্রেইট এবং কেপ অ্যাডারের মাঝামাঝি কোনো স্থানে এর উৎপত্তি হয়েছিল ।
সমুদ্রের গভীরে লুকানো রহস্য
'জুলিয়া' শব্দটি আজও সমুদ্রের গভীরে লুকানো রহস্যের একটি প্রতীক । এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, বিজ্ঞান এখনও পর্যন্ত সমুদ্রের অনেক অজানা দিক আবিষ্কার করতে পারেনি ।
কৌতূহল এবং অনুসন্ধান
'জুলিয়া'র রহস্য বিজ্ঞানীদের এবং সাধারণ মানুষকে সমুদ্রের গভীরতা এবং প্রকৃতির বিস্ময়কর দিকগুলো অন্বেষণ করতে উৎসাহিত করে । এটি আমাদের জ্ঞানার্জনের পথে একটি অবিরাম যাত্রা.