ফার্ন দ্বীপপুঞ্জে ধূসর সীলদের জনসংখ্যা গবেষণা ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন ধাপে প্রবেশ করেছে
সম্পাদনা করেছেন: Olga Samsonova
নর্থাম্বারল্যান্ডের উপকূলের কাছে অবস্থিত ফার্ন দ্বীপপুঞ্জে ধূসর সীলদের জনসংখ্যা নিয়ে একটি বিস্তৃত গবেষণার পরবর্তী ধাপ শুরু করেছে গবেষক দল। এই পর্যবেক্ষণ প্রকল্পটি ১৯৫২ সাল থেকে একটি দীর্ঘ ইতিহাস বহন করে চলেছে, যখন থেকে এই দ্বীপপুঞ্জে প্রতি বছর জন্ম নেওয়া শাবকদের সংখ্যা পদ্ধতিগতভাবে লিপিবদ্ধ করা শুরু হয়েছিল। ন্যাশনাল ট্রাস্ট (National Trust) এখন উন্নত ডেটা সংগ্রহের পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে। তারা মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ড্রোন) ব্যবহার করছে, যা উপনিবেশের উপর প্রভাব কমাতে দ্বীপগুলির পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭৫ মিটার উচ্চতায় কাজ করছে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, উদাহরণস্বরূপ রাশিয়ার অভয়ারণ্যগুলিতে, প্রাণিবিদ্যায় ড্রোন ব্যবহার ঐতিহ্যবাহী চাক্ষুষ পদ্ধতির তুলনায় গণনা নির্ভুলতা বাড়ায়। এর কারণ হলো, ড্রোন প্রাণীদের বিরক্ত না করেই স্পষ্ট চিত্র নিতে সক্ষম। ফার্ন দ্বীপপুঞ্জে দীর্ঘমেয়াদী এই গবেষণা শুরু হওয়ার পর থেকে ধূসর সীলদের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। অনুকূল পরিবেশগত পরিস্থিতি এবং সীমিত মানবসৃষ্ট প্রভাবের কারণে, এই অঞ্চলটি এখন ইংল্যান্ডের অন্যতম বৃহত্তম ধূসর সীল উপনিবেশের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।
ন্যাশনাল ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই নিয়মিত বার্ষিক পর্যবেক্ষণটি সামুদ্রিক জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি সহ পরিবেশের গতিশীল পরিবর্তনের সাথে প্রজাতির টিকে থাকার ক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে কাজ করে। সংগৃহীত জটিল ডেটা বিশ্লেষণের দায়িত্ব নিয়েছে নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটি (Newcastle University)। এটি সামুদ্রিক বিজ্ঞানের প্রেক্ষাপটে প্রকল্পের শিক্ষাগত গুরুত্বকে তুলে ধরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিক বিভাগগুলি মহাসাগরীয় জৈব-ভূ-রসায়ন এবং সামুদ্রিক স্রোতের মডেলিংয়ের ক্ষেত্রে তাদের আন্তঃবিভাগীয় গবেষণার জন্য সুপরিচিত।
তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াটি পুরো শরৎকাল জুড়ে অব্যাহত থাকবে, যা ডেটার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করবে। দূরবর্তী সংবেদনশীল প্রযুক্তি, যেমন ৭৫ মিটার উচ্চতায় ড্রোন ব্যবহার করা, একটি আধুনিক প্রবণতা। এটি স্থল-ভিত্তিক বা পাইলট চালিত বিমান পদ্ধতির চেয়ে আরও নির্ভুল এবং নিরাপদ ডেটা পেতে সাহায্য করে। ১৯৫২ সালে শুরু হওয়া এই অর্ধ-শতাব্দীর পুরনো প্রকল্পটি পরিবর্তিত জলবায়ুর পরিস্থিতিতে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীদের দীর্ঘমেয়াদী গতিশীলতা বোঝার জন্য একটি অমূল্য ডেটা সেট উপস্থাপন করে।
ন্যাশনাল ট্রাস্টের মতো সংরক্ষণ সংস্থা এবং নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই সহযোগিতা প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রতি একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করে। ন্যাশনাল ট্রাস্ট যখন লজিস্টিক সহায়তা এবং অঞ্চলটির সুরক্ষা নিশ্চিত করে, তখন নিউক্যাসলের বিজ্ঞানীরা বহু বছরের পর্যবেক্ষণগুলির ব্যাখ্যা করার জন্য বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা সরবরাহ করেন। আশা করা হচ্ছে, এই ধাপের বিশ্লেষণের ফলাফল আগামী বসন্তকালে জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ হবে, যা জনসংখ্যার বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে সহায়তা করবে।
উৎসসমূহ
Daily Mail Online
World’s longest-running grey seal survey continues on remote Farne Islands
Puffin population declared ‘stable’ on the Farne Islands as results of first full count for five years are confirmed
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
