৮ই জুন, বিশ্ব নেতারা সমুদ্র সংরক্ষণের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে ফ্রান্সের নিসে একটি উচ্চ-পর্যায়ের সম্মেলনে মিলিত হন। শীর্ষ সম্মেলনে অতিরিক্ত মাছ ধরা, দূষণ এবং সমুদ্র সুরক্ষা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জাতিসংঘ মহাসাগরের সম্মুখীন হওয়া একটি “জরুরি অবস্থা” তুলে ধরেছে এবং দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা ও শক্তিশালী সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই সম্মেলনের লক্ষ্য গভীর সমুদ্র খনন, প্লাস্টিক দূষণ এবং টেকসই নয় এমন মাছ ধরার পদ্ধতির বিষয়ে বিতর্ক মোকাবেলা করা।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ পরিস্থিতির জরুরি অবস্থার ওপর জোর দিয়ে বলেন, গ্রহটি ভাঙা প্রতিশ্রুতি সহ্য করতে পারে না। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন।
সম্মেলন স্থানটি একটি তিমি মাছের অভ্যন্তরের মতো করে ডিজাইন করা হয়েছিল। শীর্ষ সম্মেলনে ভূমধ্যসাগরের মাছ দিয়ে তৈরি একটি নৈশভোজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। ফ্রান্স পাঁচ দিনের এই অনুষ্ঠানের জন্য ৫,০০০ পুলিশ অফিসার মোতায়েন করে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলি সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, সমুদ্রের আবর্জনা এবং অতিরিক্ত মাছ ধরা মোকাবিলায় আর্থিক সহায়তা চাইবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো প্রতিনিধি দল পাঠায়নি।
সংরক্ষণবাদীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এই শীর্ষ সম্মেলন, যা একটি আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি তৈরি করবে না, তা কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা ছাড়া অকার্যকর হতে পারে। ফ্রান্স কিছু সামুদ্রিক সংরক্ষিত অঞ্চলে বটম ট্রলিংয়ের উপর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে।
দেশগুলোকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩০% মহাসাগর রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। বর্তমানে, সমুদ্রের প্রায় ৮% এলাকাকে সামুদ্রিক সংরক্ষণ অঞ্চল হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। গ্রিনপিসের অনুমান, বর্তমান হারে, ৩০% লক্ষ্যে পৌঁছতে আরও ৮২ বছর সময় লাগবে।
এই শীর্ষ সম্মেলন ক্ষতিকারক মাছ ধরার ভর্তুকি এবং সমুদ্র রক্ষার বিষয়ে একটি বিশ্বব্যাপী চুক্তির অনুমোদন এবং গভীর সমুদ্র খননের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সমর্থন তৈরির উপরও দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। ফ্রান্স এই বিষয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে।