বিশ্ব ডুগং দিবস, যা প্রতি বছর ২৮শে মে পালিত হয়, ডুগং সংরক্ষণের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে, বিশেষ করে ভারতে। এই দুর্বল সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী, যা সমুদ্র গরু নামেও পরিচিত, বেঁচে থাকার জন্য সমুদ্র ঘাসের উপর নির্ভরশীল।
ডুগংরা আবাসস্থলের অবনতি, মাছ ধরার সরঞ্জামে আটকে যাওয়া, দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো হুমকির সম্মুখীন হয়। তাদের ধীর প্রজনন হার এই বিপদগুলিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে, ভারত ডুগং সংরক্ষণে সক্রিয়ভাবে জড়িত, এই নিরীহ প্রাণী এবং তাদের আবাসস্থল রক্ষার জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ভারতের প্রথম ডুগং সংরক্ষণাগার, ২০২২ সালে পক প্রণালী, তামিলনাড়ুতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা এই অঙ্গীকারের প্রমাণ। এই সংরক্ষণাগারের লক্ষ্য হল গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র ঘাস রক্ষা করা। এই সংরক্ষণ প্রচেষ্টার অবিচ্ছেদ্য অংশ হল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ এবং স্থিতিশীল মাছ ধরা। প্রচার অভিযানগুলি সম্প্রদায়কে ডুগংদের পরিবেশগত ভূমিকা সম্পর্কে শিক্ষিত করে, যেখানে গবেষণা তাদের জনসংখ্যা এবং আচরণ সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। থাঞ্জাভুর জেলার জেলেরা সম্প্রতি ডুগংদের বাঁচানোর প্রচেষ্টার জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন, যা সম্প্রদায়-নেতৃত্বাধীন সংরক্ষণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।