৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে, মার্কিন স্টক মার্কেটগুলি বাণিজ্য নীতির পরিবর্তনের প্রভাবে স্থির থেকে নেতিবাচক সূচকে খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি এমন একটি পরিস্থিতি যা দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের জন্যও চিন্তার বিষয়, কারণ বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন আমাদের অঞ্চলের বাজারেও প্রভাব ফেলতে পারে।
ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট ঘোষণা করেছেন, যেসব দেশ এখনও চূড়ান্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে পারেনি তাদের জন্য ৯ জুলাই নির্ধারিত শুল্ক বাড়ানোর সময়সীমা ১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে সোনার দাম প্রায় ০.৬% কমে প্রতি আউন্স $৩,৩১৪.২১ হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১০% শুল্ক আরোপ করেছেন এমন দেশগুলোর ওপর যারা 'ব্রিকসের বিরোধী-আমেরিকান নীতির' সাথে একমত হয়েছে। চীনা কোম্পানিগুলো মার্কিন শুল্ক এড়াতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাধ্যমে রপ্তানি বাড়াচ্ছে, বিশেষ করে ভিয়েতনামে ২০২৪ সালের মে মাস থেকে রপ্তানি ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রবণতা আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবসায়িক পরিবেশের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যেখানে ভৌগলিক ও কৌশলগত পরিবর্তনগুলি অর্থনৈতিক গতিশীলতাকে প্রভাবিত করে।
শুল্ক কার্যকর করার সময়সীমা ১ আগস্ট পর্যন্ত দেরি এবং চলমান বাণিজ্য আলোচনাগুলো বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাণিজ্য নীতি ও কর্পোরেট আয়ের সমন্বয় আগামী সপ্তাহগুলোতে বাজারের গতিবিধি নির্ধারণ করবে, যা আমাদের অর্থনৈতিক সচেতন পাঠকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।