শুল্ক অনিশ্চয়তা ও ওপেক+ তেলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে এশিয়ার বাজারে পতন

সম্পাদনা করেছেন: Olga Sukhina

৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে, মার্কিন শুল্ক নীতির অনিশ্চয়তা এবং ওপেক+ এর তেল উৎপাদন বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এশিয়ার শেয়ার বাজারে পতন লক্ষ্য করা গেছে। এই পরিস্থিতি বিশ্ববাজারে প্রভাব ফেলেছে, যা বাণিজ্য ও জ্বালানি খাতের অনিশ্চয়তার প্রতিফলন। দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে, যেখানে বাণিজ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এই ঘটনাগুলো গভীর ভাবনার বিষয়।

মার্কিন কর্মকর্তারা শুল্ক কার্যকর করার সময়সীমা ১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত স্থগিত করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে বাণিজ্য চুক্তিগুলো চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং ৯ জুলাই ২০২৫ এর মধ্যে উচ্চতর শুল্ক সংক্রান্ত নোটিফিকেশন আসার প্রত্যাশা রয়েছে। মূলত শুল্ক বৃদ্ধির শেষ তারিখ ছিল ৯ জুলাই, তবে বিস্তারিত বিষয় এখনও স্পষ্ট হয়নি।

এসঅ্যান্ডপি ৫০০ এবং নাসড্যাক ফিউচার ০.৩% কমেছে। ইউরোস্টক্স ৫০ ফিউচার ০.১% হ্রাস পেয়েছে, এফটিএসই ফিউচার ০.২% পতিত হয়েছে, এবং ডিএএক্স ফিউচার স্থিতিশীল ছিল। জাপানের নিক্কেই ০.৫% কমেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার শেয়ার বাজার স্থিতিশীল ছিল। এমএসসিআই এশিয়া-প্যাসিফিক শেয়ার (জাপান ব্যতীত) ০.৬% পতন হয়েছে।

ডলার সূচক ৯৭.০৭১ এ উন্নীত হয়েছে। ইউরো $১.১৭৭১ এ স্থিতিশীল ছিল, এবং ডলার ১৪৪.৭৬ ইয়েনে শক্তিশালী হয়েছে। ওপেক+ আগস্ট ২০২৫ থেকে দৈনিক ৫৪৮,০০০ ব্যারেল তেল উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তেলের দাম কমেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম $৬৭.৭৮ প্রতি ব্যারেল এবং মার্কিন ক্রুড $৬৫.৯৯ এ নেমে এসেছে।

বাজার বাণিজ্য উত্তেজনা ও তেল সরবরাহ পরিবর্তনের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। শুল্ক নীতির অনিশ্চয়তা এবং ওপেক+ এর তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে বিশ্ববাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে, এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

উৎসসমূহ

  • Daily Mail Online

  • Reuters

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।