৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন তামার আমদানিতে ৫০% শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত, যা বিশ্ব বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল দেশীয় তামার উৎপাদন বাড়ানো, যা বৈদ্যুতিক যানবাহন ও অবকাঠামোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিকেও সরাসরি প্রভাবিত করে, যেখানে তামার আমদানির ওপর নির্ভরতা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এই ঘোষণা দেওয়ার পর তামার ফিউচারের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। ইউএস কমেক্স তামার ফিউচার ১২% এর বেশি বৃদ্ধি পেয়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়। ফ্রিপোর্ট-ম্যাকমোরান কোম্পানির শেয়ারও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। এই পরিস্থিতি আমাদের অঞ্চলের বাণিজ্যিক উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
চিলি, কানাডা ও মেক্সিকোসহ প্রধান তামার সরবরাহকারী দেশগুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একই সময়ে, মার্কিন ডলার জাপানি ইয়েনের বিরুদ্ধে ২০ জুনের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং ডলার সূচকও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিবর্তনগুলি দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং মুদ্রার বাজারে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
এই শুল্ক আরোপ একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ, যা বাণিজ্যিক ভারসাম্য ঠিক করতে এবং দেশীয় শিল্পকে উৎসাহিত করতে চায়। বাজার বিশ্লেষকরা স্বল্পমেয়াদী অস্থিরতার পূর্বাভাস দিচ্ছেন, এবং আমদানিকৃত তামারের ওপর নির্ভরশীল মার্কিন কোম্পানিগুলো বাড়তি খরচ নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমাদের অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও শিল্পীদের জন্যও এটি চিন্তার বিষয়।
পরিস্থিতি গতিশীল, এবং যুক্তরাষ্ট্র ও এর বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে চলমান আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। (উৎস: রয়টার্স, অ্যাক্সিওস, ৮-৯ জুলাই ২০২৫)