মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ১৯ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে ঘোষণা করেছেন যে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ার পদের জন্য সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আদ্রিয়ানা কুগলারের পদত্যাগের পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন বর্তমান ফেড কর্মকর্তা, বাজার বিশেষজ্ঞ সহ মোট এগারোজন প্রার্থীর উপর विचार করছে, যারা অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সম্ভাব্য সুদের হার সমন্বয়ের জন্য বিবেচিত হচ্ছেন।
উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন স্টিফেন মিরান, কেভিন হ্যাসেট, মিশেল বোম্যান, ক্রিস্টোফার ওয়ালার, লোরি লোগান, কেভিন ওয়ার্শ, ডেভিড জের্ভোস, ল্যারি লিন্ডসে এবং জেমস বুলার্ড। বেসেন্ট সুদের হার নীতির মাধ্যমে আবাসন বাজারকে উদ্দীপিত করার জন্য সক্ষম একজন নেতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। ফেডারেল রিজার্ভের আসন্ন সেপ্টেম্বর ১৬-১৭, ২০২৫ সভা থেকে সুদের হারে এক-চতুর্থাংশ শতাংশ পয়েন্ট কমানোর আশা করা হচ্ছে, যা ডিসেম্বর ২০২৪ এর পর প্রথম এমন ঘটনা হবে।
আদ্রিয়ানা কুগলার ৮ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডে তার প্রথম সুযোগ করে দেয়। স্টিফেন মিরানকে এই শূন্যপদে অস্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য মনোনীত করা হয়েছে, যা জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত তার মেয়াদ পূর্ণ করবে। মিরান, যিনি বর্তমানে কাউন্সেল অফ ইকোনমিক অ্যাডভাইজার্সের চেয়ারম্যান, তিনি প্রশাসনের অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার, যেমন কম সুদের হার, শুল্ক সম্প্রসারণ এবং কর হ্রাসের একজন শক্তিশালী সমর্থক। তার নিয়োগ ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটিতে (FOMC) সুদের হার কমানোর পক্ষে একটি ভোট যোগ করতে পারে, যা কুগলারের বর্তমান ফেড চেয়ার জেরোম পাওয়েলের সতর্কতামূলক পদ্ধতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
ফেডারেল রিজার্ভের সেপ্টেম্বর ১৬-১৭, ২০২৫ সালের সভাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। যদিও আর্থিক বাজারের বিনিয়োগকারীরা একটি ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমানোর ব্যাপারে আশাবাদী, FOMC-এর কিছু সদস্য এখনও দ্বিধাগ্রস্ত। এই সময়ে নতুন কোনও তথ্য না আসলে, সুদের হার কমানো এবং অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে শক্তিশালী যুক্তি থাকবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতি, বিশেষ করে শুল্ক, মুদ্রাস্ফীতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করবে। বেসেন্ট বিশ্বাস করেন যে ফেডারেল রিজার্ভের নীতি আবাসন বাজারকে উদ্দীপিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং আশা করেন যে নতুন চেয়ারম্যান এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর নীতি গ্রহণ করবেন। সুদের হার কমানোর মাধ্যমে আবাসন বাজারে গতি আনা এবং সামগ্রিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করাই মূল লক্ষ্য।