১৯ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে ভারতীয় শেয়ার বাজার ইতিবাচকভাবে বন্ধ হয়েছে। পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) সংস্কারের প্রত্যাশা এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এই তেজিভাব দেখা গেছে। সেনসেক্স ৮১,২৭৪-এ পৌঁছেছে এবং নিফটি ৫০ প্রায় ১% বৃদ্ধি পেয়ে ২৪,৮৭৭-এ দাঁড়িয়েছে, যা বিভিন্ন সেক্টরের মধ্যে বিস্তৃত শক্তি প্রদর্শন করেছে।
অটোমোবাইল, ভোগ্যপণ্য এবং রিয়েল এস্টেট সেক্টরগুলি এই উত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে, যেখানে ২% থেকে ৪% পর্যন্ত বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও, ধাতু, এফএমসিজি, টেলিকম এবং প্রাইভেট ব্যাংকিং সেক্টরগুলিও উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে। এই ইতিবাচক প্রবণতা ভারতীয় অর্থনীতির সামগ্রিক শক্তি এবং সংস্কারের প্রতি বাজারের আস্থা প্রতিফলিত করে।
ভারতীয় মুদ্রা ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে, যা প্রায় ₹৮৭.৩৫-৮৭.৩৯-এ বন্ধ হয়েছে। এই শক্তিশালী অবস্থান মূলত শেয়ার বাজারে বিদেশী বিনিয়োগের প্রবাহ এবং সংস্কারমূলক পদক্ষেপের প্রতি ইতিবাচক মনোভাবের কারণে সম্ভব হয়েছে। এটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই সময়ে, সোনার দাম প্রায় দুই সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে, যেখানে প্রতি ১০ গ্রামে ₹৯৯,৮৬০-এ লেনদেন হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক বাজারে নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে, রূপার ফিউচারস সেপ্টেম্বরের ডেলিভারির জন্য প্রায় ₹২০১ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজি ₹১,১৪,১৪৪-এ পৌঁছেছে। এই মিশ্র প্রবণতা পণ্যের বাজারে একটি পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি নির্দেশ করে।
অর্থনৈতিকভাবে, ভারত একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। Deloitte-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৪% থেকে ৬.৭% এর মধ্যে থাকার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংসের মতে, জিএসটি সংস্কারগুলি দীর্ঘমেয়াদে ভারতের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে পারে কারণ এটি সম্মতি সহজতর করবে এবং হিসাবরক্ষণ প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করবে। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে জিএসটি সংস্কারের প্রত্যাশা এবং রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস পাওয়ার লক্ষণগুলি বাজারের ইতিবাচক মনোভাবকে আরও শক্তিশালী করেছে।