আগস্ট ২০, ২০২৫-এ ইউরোপীয় স্টক মার্কেটগুলি সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাবলীর উপর নজর রাখছেন। ইউরোস্টক্সক্স ৫০ সূচক ০.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে, জার্মান ডিএএক্স সূচক ০.২% এবং লন্ডন এফটিএসই সূচক ০.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে রাশিয়ার সাথে আলোচনা সংক্রান্ত বৈঠকের পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্ক মনোভাব বজায় রয়েছে।
এশিয়াতে, বাজারগুলি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, এমএসসিআই এশিয়া-প্যাসিফিক সূচক ০.২% হ্রাস পেয়েছে। ভারতীয়, হংকং এবং সাংহাই শেয়ারগুলি ০.২% থেকে ০.৪% পর্যন্ত সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, জাপানি, দক্ষিণ কোরিয়ান এবং অস্ট্রেলিয়ান স্টকগুলি ০.১% থেকে ০.৮% পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। জাপানের রপ্তানি ডেটা প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ছিল, যা এই অঞ্চলের bearish sentiment-এ অবদান রেখেছে।
ওয়াল স্ট্রিটে, পূর্ববর্তী ট্রেডিং সেশনটি সামান্য পরিবর্তনের সাথে শেষ হয়েছে। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ ০.০৮% হ্রাস পেয়েছে, এসএন্ডপি ৫০০ সূচক ০.০১% এবং নাসডাক কম্পোজিট ০.০৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে, ডলার সূচক ৯৮.১২ পয়েন্টে পৌঁছেছে। তেল মূল্য হ্রাস পেয়েছে, ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল ৬৬.১৫ ডলার এবং ডব্লিউটিআই প্রতি ব্যারেল ৬২.৯৫ ডলারে নেমে এসেছে।
ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং ফেডারেল রিজার্ভের আসন্ন নীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের উপর বিনিয়োগকারীরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। ইউক্রেন শান্তি আলোচনার অগ্রগতি ইউরোপীয় বাজারগুলিতে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তবে প্রযুক্তি খাতের শেয়ারের দরপতন এবং মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়া বাজারের উপর মিশ্র প্রভাব ফেলেছে। বিনিয়োগকারীরা আগামী দিনে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছেন, যা সুদের হার এবং মুদ্রানীতি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা দিতে পারে।