আগস্ট ১৩, ২০২৫-এ বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার প্রধান কারণ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জুলাই মাসের মুদ্রাস্ফীতির তথ্য। এই তথ্য অনুসারে, মাসিক মুদ্রাস্ফীতি মাত্র ০.২% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ফেডারেল রিজার্ভের সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ইতিবাচক সংকেত বিশ্বজুড়ে বাজারগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছে।
এশিয়ার বাজারগুলিতেও এর প্রভাব দেখা গেছে। হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক ২.২৯% বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে জাপানের নিক্কেই সূচক ১.২৯% বেড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপি ১.০৭% এবং চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক ০.৪৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির এই তথ্য, যা বার্ষিক ২.৭% বৃদ্ধি দেখিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশাবাদ তৈরি করেছে। ইউরোপীয় বাজারগুলিও এই ইতিবাচক ধারা অনুসরণ করেছে। জার্মানির ডিএএক্স সূচক ০.৭৭% এবং ফ্রান্সের সিএসি ৪০ সূচক ০.৫১% বৃদ্ধি পেয়েছে। লন্ডনের এফটিএসই ১০০ সূচক ০.১৯% বেড়েছে। ভারতের মুদ্রাস্ফীতি জুলাই মাসে কমে ৮ বছরের সর্বনিম্ন ১.৫৫% এ দাঁড়িয়েছে, যা এই ইতিবাচক অনুভূতিকে আরও শক্তিশালী করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) মাসিক ০.২% এবং বার্ষিক ২.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। কোর সিপিআই মাসিক ০.৩% এবং বার্ষিক ৩.১% বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এখন ফেডারেল রিজার্ভের সেপ্টেম্বরে এক-চতুর্থাংশ শতাংশ হারে সুদের হার কমানোর ৯৬% সম্ভাবনা দেখছেন। এই পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী বাজারগুলিতে একটি শক্তিশালী উত্থান ঘটিয়েছে, যা মুদ্রাস্ফীতির মন্থর গতি এবং প্রত্যাশিত সহজ মুদ্রানীতির প্রতিফলন। এই ঘটনাগুলি একটি বৃহত্তর অর্থনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সমন্বিত পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভারতের মতো দেশগুলিতে মুদ্রাস্ফীতির এই নিম্নগামী প্রবণতা সেখানকার ভোক্তাদের জন্য স্বস্তির কারণ হয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।