১৩ই আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, বিশ্ব বাজারে সোনার দামে সামান্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ০.৩% বেড়ে $৩,৩৫৫.৫৮ হয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধি মূলত মার্কিন ডলারের দুর্বলতা এবং ট্রেজারি ইল্ডের পতনের কারণে ঘটেছে, যা আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে সোনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। আমেরিকার ডিসেম্বরের ফিউচার ডেলিভারির জন্য সোনার দামও ০.৩% বেড়ে $৩,৪০৮.৩০ এ পৌঁছেছে। বাজার আশা করছে ফেডারেল রিজার্ভ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ সুদের হার কমাতে পারে। জুলাই মাসের মুদ্রাস্ফীতির তথ্যের পর এই প্রত্যাশা আরও জোরালো হয়েছে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা ৯৭% সম্ভাবনা দেখছেন। Tradu.com-এর বিশ্লেষক নিকোস তজাবোরাস উল্লেখ করেছেন যে সহনীয় সিপিআই ডেটা এবং দুর্বল নন-ফার্ম পে-রোল ডেটা সোনার দামকে সমর্থন করছে। বিনিয়োগকারীরা এখন ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী পদক্ষেপের ইঙ্গিত পেতে আসন্ন মার্কিন অর্থনৈতিক তথ্যের দিকে নজর রাখছেন।
রূপা, প্ল্যাটিনাম এবং প্যালাডিয়ামের মতো মূল্যবান ধাতুগুলিও বৃদ্ধি পেয়েছে, যথাক্রমে ১.৬%, ০.৩% এবং ০.৫%। এসপিডিআর গোল্ড শেয়ার্স ইটিএফ (GLD) ১৪ই আগস্ট, ২০২৫ তারিখে $৩০৯.২১ এ লেনদেন হয়েছে, যা ০.৩% বৃদ্ধি নির্দেশ করে। ভূ-রাজনৈতিক কারণ, যেমন বাণিজ্য চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং আসন্ন শীর্ষ নেতাদের আলোচনা, সোনার দামকে প্রভাবিত করতে পারে যদি তা $৩,৪০০ প্রতিরোধের স্তর অতিক্রম করে। মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমে আসা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ধীর হওয়ার ইঙ্গিতগুলি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলিকে মুদ্রানীতি শিথিল করার জন্য উৎসাহিত করে। যখন সুদের হার কমে, তখন বন্ডের মতো সুদের উপর নির্ভরশীল বিনিয়োগগুলি কম আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে, যা সোনাকে একটি বিকল্প নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে আরও মূল্যবান করে তোলে। বিনিয়োগকারীরা এই পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজেদের পোর্টফোলিওকে সুরক্ষিত রাখতে এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নের বিরুদ্ধে একটি হেজ হিসাবে সোনায় বিনিয়োগ করছেন। এই প্রবণতা আগামী মাসগুলিতেও অব্যাহত থাকতে পারে, বিশেষ করে যদি ফেডারেল রিজার্ভ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেখে অর্থনৈতিক মন্দা এড়াতে সক্ষম হয়।