২১শে আগস্ট, ২০২৫ তারিখে ভারতীয় শেয়ার বাজার ধারাবাহিক ভাবে ষষ্ঠ দিনের জন্য লাভজনকতা বজায় রেখেছে। বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (BSE) সেনসেক্স ০.১৭% বৃদ্ধি পেয়ে ৮২,০০০.৭১ অঙ্কে বন্ধ হয়েছে। একইভাবে, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE) নিফটিও ০.১৩% বেড়ে ২৫,০৮৩.৭৫ অঙ্কে পৌঁছেছে। এই ইতিবাচক ধারা বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশাবাদ তৈরি করেছে, যা মূলত আসন্ন জিএসটি সংস্কার এবং সম্প্রতি প্রাপ্ত ক্রেডিট রেটিং আপগ্রেডের প্রত্যাশার উপর ভিত্তি করে।
বাজারের প্রধান চালিকাশক্তিগুলির মধ্যে ছিল বাজাজ ফিনসার্ভ এবং আইসিআইসিআই ব্যাংক, উভয়ই তাদের শেয়ারের মূল্যে শক্তিশালী বৃদ্ধি দেখিয়েছে। আইসিআইসিআই ব্যাংক গত এক বছরে ২২.৩৫% রিটার্ন দিয়েছে, যা সেনসেক্সের ১.৩৫% বৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি। স্বাস্থ্যসেবা এবং রিয়েলটি সেক্টর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ এবং কমোডিটি সেক্টরে কিছুটা পতন লক্ষ্য করা গেছে।
বিশ্লেষকরা জিএসটি কাউন্সিলের প্রস্তাবিত দুই-স্লাব কাঠামোর সিদ্ধান্তের দিকে নজর রাখছেন, যেখানে প্রায় ৯৯% পণ্য বর্তমান ১২% স্ল্যাব থেকে ৫% স্ল্যাবে এবং ২৮% স্ল্যাবের বেশিরভাগ পণ্য ১৮% স্ল্যাবে স্থানান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সংস্কারগুলি সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝা কমাতে এবং ভোগব্যয় বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এসএন্ডপি গ্লোবাল কর্তৃক ভারতের দীর্ঘমেয়াদী সার্বভৌম ক্রেডিট রেটিং 'BBB' তে উন্নীত করা হয়েছে, যা ১৮ বছরের মধ্যে প্রথম আপগ্রেড। এই আপগ্রেড ভারতের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বৃদ্ধির সম্ভাবনার উপর আস্থা বাড়িয়েছে, যা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য ভারতের বাজারে বিনিয়োগের আকর্ষণ বাড়াতে পারে।
বিদেশী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা (FIIs) প্রায় ১,১০০.০৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন, যেখানে দেশীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা (DIIs) ১,৮০৬.৩৪ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন। এই সময়ে, ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ০.৯০% বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৬৭.৪৪ ডলারে পৌঁছেছে। গত ছয় দিনে, সেনসেক্স ২.১৪% এবং নিফটি ২.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এবং বিশ্ব বাজারের অনিশ্চয়তা বাজারের উপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি করলেও, জিএসটি সংস্কার এবং ক্রেডিট রেটিং আপগ্রেডের মতো ইতিবাচক কারণগুলি ভারতীয় শেয়ার বাজারের জন্য একটি আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।