জুলাই ১৫, ২০২৫ নাগাদ, অর্থনৈতিক কারণ এবং বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের এক সম্মিলিত প্রভাবে রুপার দাম গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সি পি এম গ্রুপের জেফরি খ্রিস্টান এই মূল্যবৃদ্ধির বিশ্লেষণ করেছেন, যেখানে তিনি ফটকামূলক চাহিদা এবং ভৌত বাজারের মৌলিক বিষয়গুলির মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরেছেন, পাশাপাশি সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতির তথ্যেরও পর্যালোচনা করেছেন। এই উত্থান মূল্যবান ধাতুগুলির বৃহত্তর প্রবণতাকে প্রতিফলিত করে, যা অর্থনৈতিক বাস্তবতা এবং ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাবলী দ্বারা প্রভাবিত।
মার্চ ১৪, ২০২৫-এ, সোনার দাম ৩,০০০ ডলার ছাড়িয়ে যায় এবং রুপার দাম ৩৫ ডলারের কাছাকাছি চলে আসে। তখন আলোচনা কেন্দ্রীভূত ছিল সিওএমইএক্স ডিপোজিটরি এবং মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির তথ্যের ফেডারেল রিজার্ভ নীতির উপর প্রভাব নিয়ে। জুন ১৩, ২০২৫-এর আরও বিশ্লেষণে দেখা যায় যে সোনা ৩৫০০ ডলারের কাছাকাছি এবং রুপার দ্রুত বৃদ্ধি, যা মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং বিনিয়োগকারীদের চাহিদার উপর এর প্রভাবের সাথে যুক্ত। এই ঘটনাগুলি বিশ্ব অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি মূল্যবান ধাতুগুলির সংবেদনশীলতা তুলে ধরে। কিটকো নিউজ জুলাই ১৮, ২৫শে রিপোর্ট করেছে যে, যদিও রুপা এবং সোনা শক্তিশালী ছিল, প্ল্যাটিনামের দামে উল্লেখযোগ্য উল্লম্ফন দেখা গেছে। এর প্রধান কারণ ছিল অন্তর্নিহিত বাজারের মৌলিক বিষয়গুলির পরিবর্তে ফটকামূলক কার্যকলাপ এবং স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ প্রবাহ। মূল্যবান ধাতুগুলির চলমান অস্থিরতা এবং মূল্যের ওঠানামা অর্থনৈতিক অনুভূতি এবং ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সূচক হিসাবে তাদের ভূমিকাকে জোরদার করে। রুপার এই অভূতপূর্ব মূল্যবৃদ্ধি কেবল একটি বাজার প্রবণতা নয়, বরং বিশ্ব অর্থনীতির একটি বৃহত্তর চিত্র তুলে ধরে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মুদ্রাস্ফীতির উদ্বেগ বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মূল্যবান ধাতুগুলির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই প্রবণতা ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা রুপার মতো ধাতুগুলির জন্য একটি শক্তিশালী বাজার পরিস্থিতি তৈরি করবে। বিনিয়োগকারীদের জন্য, এই পর্যায়টি কেবল মুনাফার সুযোগই নয়, বরং বিশ্ব অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি বোঝার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তও বটে।