স্কেটবোর্ডিং-এর ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে, কিংবদন্তী টনি হক-এর 'ফ্যালকন ২' স্কেটবোর্ডটি ১.১৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে। এই বোর্ডটি ব্যবহার করেই টনি হক ১৯৯৯ সালের এক্স গেমসে প্রথম '৯০০' ট্রিকটি সম্পন্ন করেছিলেন। জুলিএন'স অকশনস-এ গত ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে এই ঐতিহাসিক নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যাশিত দামের দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি হওয়া এই স্কেটবোর্ডটি খেলাধুলার স্মারক হিসেবে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে।
'৯০০' ট্রিকটি, যা বাতাসে আড়াই বার ঘোরার এক জটিল কৌশল, স্কেটবোর্ডিং-এর বিশ্বব্যাপী পরিচিতি বাড়াতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এই বিক্রিটি সেই অর্জনের সাংস্কৃতিক প্রভাব এবং হক-এর দীর্ঘস্থায়ী উত্তরাধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই বিক্রির অর্থ, হক-এর সংগ্রহের অন্যান্য সামগ্রীর সাথে, 'দ্য স্কেটপার্ক প্রজেক্ট'-এ দান করা হবে। এই অলাভজনক সংস্থাটি সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ে স্কেটপার্ক নির্মাণে সহায়তা করে। টনি হক আশা প্রকাশ করেছেন যে, যিনি এই বোর্ডটি কিনেছেন, তিনি এর ঐতিহাসিক তাৎপর্য উপলব্ধি করবেন।
১৯৯৯ সালের এক্স গেমসে টনি হক যখন ৩১ বছর বয়সে প্রথমবার '৯০০' ট্রিকটি সম্পন্ন করেন, তখন তা স্কেটবোর্ডিং জগতে এক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এই ট্রিকটি সম্পন্ন করতে তিনি প্রায় দশ বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এবং এটি তার দীর্ঘদিনের লক্ষ্যের একটি ছিল। এই ঘটনাটি কেবল হক-এর ব্যক্তিগত অর্জনই ছিল না, বরং এটি স্কেটবোর্ডিং-এর সম্ভাবনাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। 'দ্য স্কেটপার্ক প্রজেক্ট', যা ২০০২ সালে টনি হক ফাউন্ডেশন নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, বর্তমানে
বিশ্বজুড়ে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে প্রায় ৭০০টি স্কেটপার্ক নির্মাণে সহায়তা করেছে। এই সংস্থাটি তরুণদের জন্য নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক স্কেটপার্ক তৈরি করে তাদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়।এই নিলামে বিক্রি হওয়া স্কেটবোর্ডের পাশাপাশি, হক-এর ব্যবহৃত অন্যান্য জিনিসপত্র যেমন - হাঁটু প্যাড, হেলমেট এবং জুতোও উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়েছে, যা খেলাধুলার স্মারক হিসেবে এগুলোর গুরুত্ব প্রমাণ করে।