নতুন গবেষণা অনুসারে, সাইলোসাইবিন নামক একটি যৌগ, যা সাইকেডেলিক মাশরুমে পাওয়া যায়, সেটি কোষের বার্ধক্য কমাতে সহায়ক হতে পারে।
নেচার পার্টনারিং জার্নাল (এনপিজে) এজিং-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা মানব কোষ এবং বয়স্ক ইঁদুরের উপর সাইলোসাইবিনের ইতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে:
সাইলোসাইবিন মানব ফুসফুস এবং ত্বকের কোষের জীবনকাল 57% পর্যন্ত বাড়াতে পারে।
এটি টেলোমারের দৈর্ঘ্য বজায় রাখতে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে, যা কোষের বার্ধক্যের প্রধান কারণ।
সাইলোসাইবিন দ্বারা চিকিৎসা করা বয়স্ক ইঁদুরের মধ্যে 80% এর বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা দেখা গেছে, যেখানে নিয়ন্ত্রণকারী দলে এই হার ছিল 50%।
ইঁদুরের মধ্যে চুলের পুনরায় বৃদ্ধি এবং স্বাভাবিক রং ফিরে আসার মতো লক্ষণও দেখা গেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সাইলোসাইবিন শুধু কোষের জীবনকাল বাড়ায় না, বয়স্কদের জীবনযাত্রার মানও উন্নত করতে পারে।
এই ফলাফলগুলি যাচাই করার জন্য মানবদেহে আরও গবেষণা প্রয়োজন। বিজ্ঞানীরা সতর্কতার সাথে বলছেন, মানুষের উপর আরও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা উচিত।
এই আবিষ্কার চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভবিষ্যতে বার্ধক্য এবং বয়স-সম্পর্কিত রোগগুলির চিকিৎসার জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
গবেষকরা মনে করেন, সাইলোসাইবিন মানবদেহের অধিকাংশ কোষে উপস্থিত সেরোটোনিন রিসেপ্টরগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে, যা বার্ধক্য প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
সাইলোসাইবিন নিয়ে গবেষণা বার্ধক্য প্রক্রিয়া বোঝা এবং একটি দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের জন্য নতুন সমাধান অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।