সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে যে বয়স বৃদ্ধির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব মানসিক সুস্থতা ও জীবনের দীর্ঘায়ু বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের দক্ষিণ এশীয় সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে, যেখানে পরিবার ও সংস্কৃতির গভীর মূল্যবোধ বিদ্যমান, বৃদ্ধ বয়সে আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়।
২০২৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধ বয়সীদের স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। যারা উচ্চ মানসিক সুস্থতার অধিকারী, তাদের স্মৃতি পরীক্ষায় সময়ের সাথে ভালো ফলাফল দেখা গেছে, যা একতরফা প্রভাব হিসেবে বিবেচিত হয়।
২০২৩ সালের গবেষণায় জানা গেছে যে বৃদ্ধ বয়সীদের মধ্যে যারা বয়স বৃদ্ধির প্রতি ইতিবাচক বিশ্বাস পোষণ করেন, তারা স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তা পুনরুদ্ধারে ৩০% বেশি সম্ভাবনা রাখেন, যা সামান্য মানসিক দুর্বলতার মাত্রা যাই হোক না কেন, তা প্রভাবিত করে না।
আগের গবেষণাগুলোও নির্দেশ করে যে বয়স বৃদ্ধির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ডিমেনশিয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৫০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয় চার বছরের মধ্যে। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে, যেখানে বয়স্কদের সম্মান ও যত্ন অপরিহার্য, এই তথ্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
এছাড়াও, ইতিবাচক মনোভাব মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৩% পর্যন্ত কমিয়ে দেয় এবং এটি উন্নত মানসিক কার্যকারিতা, কম একাকীত্ব ও বিষণ্নতার সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে জীবনের প্রতিটি পর্যায়ই সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ, যা পরিবার ও সমাজের সান্নিধ্যে আরও সমৃদ্ধ হয়।
সক্রিয় ও ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলা সম্ভব জীবনের উদ্দেশ্য বজায় রেখে এবং নেতিবাচক ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে, যা আমাদের সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধিক ঐতিহ্যের সাথে গভীরভাবে জড়িত। বয়স বৃদ্ধির প্রতি ইতিবাচক বিশ্বাস মানসিক স্বাস্থ্য ও জীবনের মান উন্নত করে, যা আমাদের সাংস্কৃতিক গর্ব ও মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।